(উপরে) উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সিন্হার কনভয়ে থাকা গাড়িতে পাথর ছোড়ার অভিযোগ। লখীসরাইয়ের বিজেপি প্রার্থী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সিন্হা (নীচে)। ছবি: সংগৃহীত।
নির্বাচন কমিশন জানাল, বিহারে ভোট পড়েছে ৬৪.৬৬ শতাংশ।
বিহারে দুপুর ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৬০.১৩ শতাংশ। ১২১টি বিধানসভা আসনে ভোট হয়েছে বিহারে। ২০২০ সালের ভোটে প্রথম দফায় যত ভোট পড়েছিল, তার চেয়ে ৪.৪৫ শতাংশ বেশি ভোট পড়েছে।
দুপুর ৩টে পর্যন্ত বিহারে ৫৩.৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই সময়ের মধ্যে ভোটদানের হারে সবচেয়ে এগিয়ে বেগুসরাই জেলা (৫৯.৮২ শতাংশ)। সব থেকে পিছিয়ে পটনা জেলা (৪৮.৬৯ শতাংশ)।
কনভয়ে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘বুলডোজ়ার অ্যাকশন’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সিন্হা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না-করা হলে তিনি ঘটনাস্থলেই ধর্নায় বসবেন বলে জানিয়েছেন বিজয়। পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, স্থানীয় গ্রামবাসীরাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠার পরেই সক্রিয় কমিশন। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বিহার পুলিশের ডিজিকে এই বিষয়ে ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কমিশন জানিয়েছে, কাউকে আইন হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লখীসরাই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিজয়কুমার সিন্হার কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। নিজের নির্বাচনী এলাকায় একটি বুথে যাওয়ার সময় বিজয়ের কনভয়ে থাকা গাড়িগুলিকে লক্ষ্য করে পাথর, গোবর এবং হাওয়াই চপ্পল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। তবে উপমুখ্যমন্ত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ রয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং আরজেডির মধ্যে বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তেজস্বীর দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরজেডি।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটা ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, কয়েক জন বিজয়ের কনভয়কে ঘিরে ধরে ‘মুর্দাবাদ-মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় বলেন, “এরা সব আরজেডির গুন্ডা। ওরা জানে এনডিএ ক্ষমতায় আসছে। তাই গুন্ডামি করছে।”
আরজেডির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কয়েকটি বুথে জোর করে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তেজস্বী যাদবের দল। তবে আরজেডির এই অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
দুপুর ১টা পর্যন্ত বিহারে ৪২.৩১ শতাংশ ভোট পড়ল। এখনও পর্যন্ত ভোটদানের হারে সবচেয়ে এগিয়ে গোপালগঞ্জ (৪৬.৭৩ শতাংশ)। এই সময়ের মধ্যে সব থেকে কম ভোট পড়েছে পটনা জেলায় (৩৭.৭২ শতাংশ)।
পটনার বখতিয়ারের একটি বুথে ভোট দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। ভোট দেওয়ার পর সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করেন নীতীশ। তিনি লেখেন, “গণতন্ত্রে ভোটদান কেবল আমাদের অধিকারই নয়, এটা আমাদের দায়িত্বও বটে। আজ বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ চলছে। সব ভোটারের কাছে আমার আবেদন, আপনারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। অন্যদেরও ভোটদানে উৎসাহিত করুন।”
বিহারে এনডিএ অভূতপূর্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “বিহারে গণতন্ত্রের বৃহৎ উৎসবে মানুষের মধ্যে দারুণ উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা ইঙ্গিত করছে যে, বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ অভূতপূর্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।” বৃহস্পতিবার বিহারে প্রথম দফার নির্বাচন চলছে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে আগামী মঙ্গলবার। বৃহস্পতিবার বিহারের ফরবীসগঞ্জ এবং আরারিয়ায় দু’টি জনসভা করবেন মোদী।
সকাল ৯টা পর্যন্ত বিহারে ১৩.১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। ১৮টি জেলার মধ্যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে সহরসা জেলায় (১৫.২৭ শতাংশ)। এখনও পর্যন্ত সব থেকে কম ভোট পড়েছে লখীসরাই জেলায় (৭ শতাংশ)।
আরজেডি নেত্রী হওয়া সত্ত্বেও লালুর ‘বিদ্রোহী’ পুত্র তেজপ্রতাপকে সমর্থন জানালেন লালু-কন্যা রোহিণী আচার্য। তিনি বলেন, “আমার শুভেচ্ছা ওর সঙ্গে রয়েছে, আমি ওকে (তেজপ্রতাপ) আশীর্বাদ করছি। আপনি কি আপনার ভাইকে আশীর্বাদ করবেন না?”
তেজস্বী এবং তেজপ্রতাপ— দুই সন্তানকেই শুভেচ্ছা জানালেন লালু-পত্নী রাবড়ী দেবী। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী বলেন, “দুই সন্তানের জন্যই আমার শুভেচ্ছা রয়েছে। তেজপ্রতাপ নিজের মতো লড়ছে। আমি তাঁদের (তেজস্বী এবং তেজপ্রতাপ) মা। দু’জনের জন্যই আমার শুভেচ্ছা রয়েছে।” প্রসঙ্গত, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’ এবং ‘পারিবারিক মূল্যবোধ ক্ষুণ্ণ’ করার কারণে জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপকে দল এবং পরিবার থেকে বিতাড়িত করেছেন লালু। তার পরেই ‘জনশক্তি জনতা দল’ গঠন করেছেন তেজপ্রতাপ। ২২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তাঁর দল। নিজের পুরনো কেন্দ্র মহুয়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তেজপ্রতাপ। অন্য দিকে, রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে আরজেডির টিকিটে লড়ছেন লালু-রাবড়ীর কনিষ্ঠপুত্র তেজস্বী। বৃহস্পতিবার দুই কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ চলছে।
স্ত্রী রাবডী দেবীকে নিয়ে পটনার একটি বুথে ভোট দিলেন আরজেডি প্রধান তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। ভোট দিয়ে বেরিয়ে লালু বলেন, ‘বদল হবে’।
পটনায় স্ত্রী রাজশ্রী যাদবের সঙ্গে ভোট দিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ভোট দিয়ে বেরিয়ে লালু-পুত্র জানান, তিনি বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’-এর জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। আগামী ১৪ নভেম্বর (বিহারে ভোটগণনা এবং ফলপ্রকাশের দিন) নতুন সরকার তৈরি হবে বলেও দাবি করেন অধুনার বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী।
আরজেডিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভিডিয়োবার্তা বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মুখ্যমন্ত্রী মুখ তেজস্বী যাদবের। ভোটদানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তেজস্বী বলেন, “আপনার ভোট বিহারের উন্নতির পথকে প্রশস্ত করবে। আগে ভোট। অন্য কাজ কিছু সময় পরেও করা যেতে পারে।”
বিহারে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরেই ভোটারদের ‘পূর্ণ উদ্যমে’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সকালে সমাজমাধ্যমে হিন্দিতে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে মোদী লেখেন, “গণতন্ত্রের উৎসবে আজ বিহারে প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই পর্বে সকল ভোটারের কাছে আমার আবেদন, আপনারা পূর্ণ উদ্যমে ভোট দিন।” ওই পোস্টেই বিহারের প্রথম বারের ভোটার যাঁরা, তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ভোটারদের উদ্দেশে মোদীর বার্তা, “মনে রাখবেন, আগে ভোট, পরে আহার-বিশ্রাম।”
সকাল ৭টা থেকে বিহারের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কোনও কোনও জায়গায় অবশ্য এক ঘণ্টা আগে, বিকেল ৫টাতেই ভোটগ্রহণ শেষ হবে।
দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) হয়েছে এ বার। প্রথম দফায় ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লক্ষেরও বেশি। আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে মগধভূমে। গণনা আগামী ১৪ নভেম্বর।
প্রথম দফার ভোটগ্রহণের তালিকায় রয়েছে— পটনা, দ্বারভাঙ্গা, মধেপুরা, সহরসা, মুজফ্ফরপুর, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারণ, বৈশালী, সমস্তিপুর, বেগুসরাই, লখীসরাই, মুঙ্গের, শেখপুরা, নালন্দা, বক্সার এবং ভোজপুর জেলা। এর মধ্যে মধ্য বিহারের জেলাগুলিতে আরজেডির ভাল প্রভাব রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy