ক্যাবিনেটে রদবদল নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা সেরে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদী। খবর বিজেপি সূত্রের। —প্রতীকী ছবি।
বড়সড় রদবদল হতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায়। উমা ভারতী, রাজীবপ্রতাপ রুডি-সহ পাঁচ জন মন্ত্রী ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন বলে সাউথ ব্লক সূত্রের খবর। সরকারের তরফে রদবদলের বিষয়ে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিজেপি সূত্রের খবর, আসন্ন রদবদল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ চূড়ান্ত আলোচনা সেরে ফেলেছেন। রবিবার ক্যাবিনেটের রদবদল হতে পারে।
জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী উমা ভারতী দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই মন্ত্রিসভা থেকে সরে গিয়েছেন। দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী রাজীবপ্রতাপ রুডিও পদত্যাগ করেছেন। তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে আনা হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সভাপতি হয়েছেন। তাই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনে তিনিও মন্ত্রিসভা ছেড়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ফগ্গন সিংহ কুলস্তে এবং কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়াঁ-ও বৃহস্পতিবার রাতে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।
এই নিয়ে তৃতীয় বার মন্ত্রিসভার রদবদল করতে চলেছেন মোদী। এ বারের রদবদলে নীতীশ কুমারের দল জেডি (ইউ) মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। তবে জেডি (ইউ)-কে একটি মন্ত্রক দেওয়া হবে না কি বেশি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এ বারের রদবদলে বেশ কয়েক জনের মন্ত্রক বদলে যাবে বলে নয়াদিল্লি সূত্রের খবর। কয়েক জন মন্ত্রীর ভার লাঘব করা হবে। মনোহর পর্রীকর গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে চলে যাওয়ার পর থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব রয়েছে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির উপর। নগরোন্নয়ন মন্ত্রক ছেড়ে বেঙ্কাইয়া নায়ডু উপরাষ্ট্রপতি পদে চলে যাওয়ার পর থেকে ওই মন্ত্রক সামলাচ্ছেন গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। স্মৃতি ইরানির হাতেও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক— বস্ত্র এবং তথ্য ও সম্প্রচার। হর্ষ বর্ধনের হাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি পরিবেশ মন্ত্রক রয়েছে। প্রত্যেকের হাত থেকেই একটি করে মন্ত্রকের ভার কমিয়ে নেওয়া হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। অরুণ জেটলি নিজেও জানিয়েছেন যে তিনি আশা করছেন এ বারের রদবদলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এ বারের রদবদলে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নীতীশ কুমারের দল ঠাঁই পাচ্ছে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। —ফাইচ চিত্র।
দায়িত্ব বাড়তে পারে নিতিন গডকড়ীর। তাঁর হাতে সড়ক পরিবহণ ও জাহাজ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই রয়েছে। রেলকেও তাঁর হাতে দিয়ে গোটা দেশের পরিবহণ ব্যবস্থাকে এক ছাতার তলায় আনতে পারেন মোদী। সম্প্রতি একের পর এক রেল দুর্ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সুরেশ প্রভুর ইস্তফার দাবিও উঠে গিয়েছে। তাই প্রভুকে পরিবেশ মন্ত্রকে পাঠিয়ে রেল গড়কড়ীকে দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর ক্যাবিনেটেও পরিবেশ মন্ত্রকের দায়িত্বেই ছিলেন প্রভু।
আরও পড়ুন: কমেছে আর্থিক বৃদ্ধি, বাড়ছে চাপ, তবু মোদী ইচ্ছায় বহাল অরুণ
আরও পড়ুন: গুজরাতে ১৫০ আসন চাই, প্রস্তুতি অমিতের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy