ঘরের দোরগোড়ায় আর খাবার পৌঁছে দিতে পারবে না ড্রোন। পৌঁছতে পারবে না অন্য পণ্য বা বিস্ফোরক। বিমান মন্ত্রক সোমবার ড্রোনের বাণিজ্যিক ব্যবহার নিয়ে যে নীতি প্রকাশ করেছে, তাতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিমানমন্ত্রী সুরেশ প্রভু আজ জানান, কৃষি, স্বাস্থ্য ও বিপর্যয় মোকাবিলায় ড্রোনের ব্যবহার নিয়েও নয়া নীতি চালু হবে ১ ডিসেম্বর থেকে। যেমন ফসলের ক্ষেতে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ছড়ানো যাবে না। বিশেষ ক্ষেত্র বাদ দিলে লাইসেন্স ছাড়া ড্রোন চালানোও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
নতুন নীতি অনুসারে, অসামরিক ড্রোন শুধু দিনে ওড়ানো যাবে এবং যিনি তা ওড়াবেন, তাঁর নজরের মধ্যে ড্রোনটিকে থাকতে হবে। ন্যানো ড্রোন (২৫০ গ্রামের কম ওজন, ৫০ ফুট পর্যন্ত উড়তে পারে), ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও সামরিক এবং আধাসামরিকবাহিনী, পুলিশের ব্যবহৃত ড্রোন এবং ছাড়া বাকি সব ড্রোনকেই নথিভুক্ত করে ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার’ দেওয়া হবে। ২০০ ফুটের উপরে উড়তে পারে এমন মাইক্রো ড্রোন ও ৪৫০ ফুটের উপর উড়তে সক্ষম ছোট ড্রোনের ক্ষেত্রে অনুমতি নিতেই হবে।
বিমান প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা আজ বলেন, ‘‘নতুন নীতিতে ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে, ‘ডিজিটাল স্কাই প্ল্যাটফর্ম’-এর মাধ্যমে। স্থানীয় পুলিশ এই অনুমতি দিতে পারবে। ড্রোন-মালিকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি উড়ানের আগে অনুমতি নিতে বাধ্য থাকবেন।’’
বিমানবন্দর এলাকা-সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাধারণ নাগরিকের তরফে ড্রোন ওড়ানো এখনও নিষিদ্ধ। নয়া নীতিতেও বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে বিজয় চক, সংসদ
ভবন এলাকা, সীমান্ত এলাকা, উপকূল এলাকা, রাজ্য সচিবালয়, সামরিক ঘাঁটি, নানা গুরুত্বপূর্ণ ভবনের আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy