ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্ট তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা খারিজ করে দেওয়ার পরে সমস্ত ব্যক্তি আইনই খতিয়ে দেখা দরকার, যে কোথায় কোথায় অসাম্যের শিকড় লুকিয়ে রয়েছে। তাই আরও বেশি করে প্রয়োজন মানবীবিদ্যা চর্চার।
মানবীবিদ্যা চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) যখন অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, তখন আজ দিল্লিতে শিক্ষক, গবেষক, ছাত্রছাত্রীরা মানবীবিদ্যার চর্চার পক্ষে আরও জোরালো সওয়াল করলেন। ইউজিসি-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, দ্বাদশ যোজনার পরে মানবীবিদ্যা চর্চা কেন্দ্রগুলির সাহায্য মূল্যায়নের ভিত্তিতে ঠিক হবে। আজ দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসিয়োসিয়েশন ফর উইমেন’স স্টাডিজ’ আয়োজিত সম্মেলনে শ’দুয়েক শিক্ষক, গবেষকদের অনেকেই তাই ‘সেভ’ লেখা ব্যাজ পড়ে এসেছিলেন।
শিক্ষাবিদ মালিনী ভট্টাচার্য যুক্তি দিলেন, শাহ বানো, মথুরার ধর্ষণ বা রূপ কানোয়ারের মতো ঘটনায় মানবীবিদ্যা চর্চার গুরুত্ব বেড়েছিল। আজ, মহিলাদের আন্দোলন ও মানবীবিদ্যা চর্চা, দু’টিরই পরস্পরকে দরকার। তাৎক্ষণিক তিন তালাক খারিজের রায়কে প্রায় গোটা দেশই সাধুবাদ জানাচ্ছে। তিন তালাকের মতো সব ব্যক্তি আইনেই অসাম্যের খোঁজ করা দরকার। তার জন্য তথ্য ও পরিসংখ্যান প্রয়োজন। সেখানেই মানবীবিদ্যা চর্চার গুরুত্ব।
১৯৮৬-তে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে মানবীবিদ্যা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে গত তিন দশকে এর গুরুত্ব ও এই চর্চার গুরুত্ব কমানোর প্রচেষ্টা কী ভাবে আটকানো যায়, তাই নিয়ে বিশ্লেষণ হয়। সংগঠনের সভানেত্রী ঋতু দেওয়ান বলেন, ‘‘সমাজে যখন মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা বাড়ছে, শিক্ষার রাজনীতিকরণের চেষ্টা হচ্ছে, তখন মানবী বিদ্যা চর্চাকে রক্ষা করা আরও বেশি জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy