বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ। কাশ্মীরে। -ফাইল চিত্র।
বিক্ষোভকারীদের থামাতে গিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল ১৬ বছরের এক কিশোরী-সহ তিন জনের।
শনিবার কুলগাঁওয়ে বিক্ষোভকারীদের সামলাতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালাতে শুরু করলে ওই তিন জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের নাম শাকির আহমেদ, আরশাদ মজিদ এবং ১৬ বছরের কিশোরী আন্দলিব। সকলেই কুলগাঁওয়ের হাউরার বাসিন্দা।
উপত্যকায় মহিলাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘দুখতারন-ই-মিলাত’ নেত্রী আসিয়া আন্দ্রাবি ও তাঁর দুই সঙ্গীকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) গ্রেফতার করায় শনিবার উপত্যকায় বন্ধের ডাক দেওয়া হয়।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বন্ধে যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সে জন্য দক্ষিণ কাশ্মীরের রেদওয়ানি সেক্টরের কুলগাঁওয়ে টহল দিচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তখনই বাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি পাথর ছুড়তে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের থামাতে তখন কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সংঘর্ষে ১০ জন বিক্ষোভকারী জখম হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ২ বিক্ষোভকারীকে।
আরও পড়ুন- সোপিয়ানে কনস্টেবলকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করল জঙ্গিরা
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে এ বার খুন অপহৃত কনস্টেবল
কয়েক দিন ধরেই কুলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গোপন আস্তানাগুলির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। সংঘর্ষের পর থেকেই থমথম করছে গোটা এলাকা। তবে থামানো যায়নি বিক্ষোভকারীদের।
পুলিশ জানাচ্ছে, যাতে গুজব ও এই বিক্ষোভের খবর গোটা উপত্যকায় না ছড়িয়ে পড়ে, সে জন্য কুলগাঁও, শোপিয়ান, অনন্তনাগ ও পুলওয়ামায় মোবাইলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ দিনের সংঘর্ষে নিরীহ নাগরিকদের মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল এন এন ভোরা নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে বসেন জরুরি বৈঠকে। কী ভাবে নিরীহ নাগরিকদের মৃত্যু হল, নিরাপত্তা বাহিনীকে তার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy