নিহত কনস্টেবল জাভেদ আহমেদ দার।
ঔরঙ্গজেবের পর এ বার জাভেদ আহমেদ দার। ভারতীয় সেনা জওয়ানকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের এক মাসের মধ্যে এ বার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এই কনস্টেবলকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করল জঙ্গিরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কাচদূরায় নিজের গ্রামের বাড়িতেই ছিলেন জাভেদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওষুধ কেনার জন্য কাছেই একটি দোকানে গিয়েছিলেন ওই কনস্টেবল। সে সময় গাড়িতে করে কয়েক জন জঙ্গি এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ জাভেদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। রাতভর চলে তল্লাশি। কিন্তু কোনও হদিস মেলেনি তাঁর। অবশেষে শুক্রবার সকালে সোপিয়ানের দানগাম থেকে তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ বছরের এপ্রিলে এই কাচদুরাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচ জঙ্গিকে খতম করেছিল সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। জাভেদ ওই অভিযানে সামিল ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোট এগোনোর আশঙ্কায় বিরোধীরা
গত জুনে ঠিক একই কায়দায় ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস-এর জওয়ান ঔরঙ্গজেবকে অপহরণ করেছিল জঙ্গিরা। ইদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পুলওয়ামায় মাঝ পথ থেকেই তাঁকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরে তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর ঘাড়ে ও মাথায় গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। খুনের আগে তাঁর ভিডিয়োও করা হয়।
গত জুনে ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস-এর জওয়ান ঔরঙ্গজেবকে অপহরণ করে থুন করেছিল জঙ্গিরা। ফাইল চিত্র।
ইদের সময় সেনা অভিযান বন্ধ রাখার জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছিল মুফতি সরকার। কেন্দ্র সেই আর্জি মেনেই সেনা অভিযান বন্ধ রেখেছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গি অনুপ্রবেশ বেড়ে যায়। দু’টি ভিন্ন ঘটনায় খুন হন সাংবাদিক শুজাত বুখারি এবং সেনা জওয়ান ঔরঙ্গজেব। ইদ মিটতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। এর পরেই পিডিপি-র সঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধ প্রকাশ্যে এসে পড়ে। শেষ পর্যন্ত পিডিপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন মেহবুবা মুফতি।
আরও পড়ুন: গুহা থেকে নামতেই দেখি মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছে ওরা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy