ছবি: সংগৃহীত।
সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার পর পর দু’টি মামলায় সম্মতি দেওয়ার পরে এ বার সোশ্যাল মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে সরব হলেন দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল। যুক্তি দিলেন, সুস্থ গণতন্ত্রের স্বার্থে সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন নেই, এর স্বাধীনতা খর্ব করা উচিত নয়। সঙ্গে বেণুগোপালের দাবি, লক্ষণরেখা না পেরোলে শীর্ষ আদালত তাদের সমালোচনা নিয়ে কখনওই প্রতিক্রিয়া জানায় না।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় ‘রিপাবলিক টিভি’-র প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীকে সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যকৌতুক শিল্পী কুণাল কামরা ও কার্টুনিস্ট রচিতা তানেজা শীর্ষ আদালতের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। দু’টি ক্ষেত্রেই আদালত অবমাননার মামলা করতে সম্মতি দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। যা নিয়ে কোনও কোনও মহলে ক্ষোভ ছিল। তবে বেণুগোপালের বক্তব্য ছিল, আদালতের সমালোচনা করার বিষয়টিকে অনেকে ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রকাশ হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন। অভিযুক্তদের শাস্তি পাওয়া উচিত বলেই মতপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বেণুগোপাল আজ দাবি করেন, নিজেকে অনেকটা নিয়ন্ত্রিত রেখেই তিনি আদালত অবমাননার মামলায় সম্মতি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘যত ক্ষণ না পর্যন্ত কোনও বিষয় আদালত অবমাননার দিকে যাচ্ছে, তত ক্ষণ কোর্ট সেই বিষয়ে কিছু করবে না। সুপ্রিম কোর্ট বিরল থেকে বিরলতর ক্ষেত্রে আদালত অবমাননার মামলা করে থাকে।’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগরিকদের স্বাধীনতার জন্য সওয়াল করে অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তি দিয়েছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করা উচিত নয়। কারণ, সুস্থ গণতন্ত্রের স্বার্থে এটা কাম্য নয়। আর এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ হলে তা আইনি লড়াইয়ের দিকে চলে যেতে পারে বলেই মনে করেন বেণুগোপাল। তিনি বলেন, ‘‘সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য খোলামেলা আলোচনা জরুরি। এই স্বাধীনতা খর্ব করার প্রয়োজন নেই। এ জন্য পদক্ষেপ করা উচিত নয় সরকারের। আমরা চাই, খোলামেলা গণতন্ত্র আর মনখুলে আলোচনা।’’ এ সঙ্গেই বেণুগোপাল বলেছেন, তিনি মনে করেন, কোনও বিষয় নজরে আনলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা খুশিই হবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy