প্রতীকী ছবি।
লিঙ্গসমতার প্রশ্নে সার্বিক ভাবে কিছুটা উন্নতি হলেও এশীয়-প্রশান্তমহাসাগরীয় (এপিএসি) দেশগুলির মধ্যে ভারতেই এখনও কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য সব চেয়ে
বেশি। অন্তত লিঙ্কডইন অপরচুনিটি ইনডেক্স ২০২১-এর রিপোর্ট সে রকমই দাবি করছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে উন্নতির ক্ষেত্রে লিঙ্গপরিচয় একটা ভূমিকা পালন করে, এমন অভিজ্ঞতার কথা এপিএসি দেশগুলির মধ্যে ভারতের মেয়েরাই সবচেয়ে বেশি জানিয়েছেন। রিপোর্টে দাবি, এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশে এই শতাংশের হিসেবটা যেখানে ৬০, ভারতে তা ৮৫। অর্থাৎ ভারতে প্রতি পাঁচ জনে চার জন মহিলা মনে করেন, মহিলা হওয়ার কারণেই তাঁদের বেতন, পদোন্নতি বা কাজের সুযোগ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। কর্মরত মহিলাদের ৬৩ শতাংশ এবং কর্মরত মায়েদের ৬৯ শতাংশ জানিয়েছেন, পারিবারিক এবং সাংসারিক দায়দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তাঁরা কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের মুখে পড়েছেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন মহিলা দাবি করেছেন, পরিবারের দায়িত্ব তাঁদের কর্মোন্নতির পথে বাধা হয়েছে।
এ বছরের ২৬-৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়স্কদের মধ্যে এই অনলাইন সমীক্ষায় এপিএসি দেশগুলি থেকে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ যোগ দিয়েছেন। ভারতে যোগদানকারীর সংখ্যা ২২৮৫, যার মধ্যে ১২২৩ জন পুরুষ এবং ১০৫৩ জন মহিলা। তবে এই মহিলাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশই স্বীকার করেছেন, তাঁদের বাবা-মায়ের প্রজন্মের তুলনায় এখন লিঙ্গবৈষম্য খানিকটা হলেও কমেছে। ধীরে হলেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। অতিমারির সময়ে বাড়ি থেকে কাজ করার বিষয়টিও মহিলা কর্মীরা পছন্দ করেছেন বলে রিপোর্টে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy