ইম্ফলে ভেঙে পড়েছে বাড়ি। ছবি: রয়টার্স।
উত্তর-পূর্বাঞ্চল যে একটা অস্থির ভূ-স্তরের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে সে কথা ভূ-বিজ্ঞানীরা বার বার করেই বলে আসছেন। বিশেষ করে গত বছর নেপালে পর পর দুটো ভূমিকম্পের পর ভূ-বিজ্ঞানীদের একাংশ জানিয়েই দিয়েছিলেন যে এ বার পালা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। এবং সেটাই সত্যি হল!
ভূ-বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাটির নীচে ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেট একে অপরের দিকে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। এক একটা সময় এই দু’টি প্লেট একটি অন্যটির উপর পিছলে গেলে প্রচুর পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় এবং তারই ফল ভূমিকম্প।
ওই একটি প্লেট আর একটি প্লেটের নীচে যত শক্তিতে ঢুকে যাবে, ভূমিকম্পের মাত্রাও তত বেশি হবে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান হরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, একটি প্লেট আর একটি প্লেটের উপর উঠে যাওয়া কিংবা পিছলে নীচে চলে যাওয়াটা একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ব্যাপার। বহু বছর পর পর এমনটা হয়ে থাকে। কিন্তু, যখন বিষয়টা ঘটে তখন ঘন ঘন গোটা অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। একটা বা দুটো বড় ধরনের ভূমিকম্প মাটির তলায় চলতে থাকা ক্রমবর্ধমান অস্থিরতাকে হঠাত্ করেই বাড়িয়ে দেয়। তার জন্য একটা বড় ভূমিকম্পের পরে গোটা অঞ্চলে পর পর অনেকগুলি ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকে। মণিপুরের ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-র অবসরপ্রাপ্ত এক ভূ-বিজ্ঞানীর মন্তব্য, “উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভূস্তর যে অবস্থায় রয়েছে তাতে আমরা ৬.৮ মাত্রার থেকেও বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছি।” অর্থাত্ এই অঞ্চলে আরও বড় মাত্রার ভূমিকম্প হতে চলেছে। সেই আশঙ্কার কথা জানিয়ে দিয়েছেন ওই ভূ-বিজ্ঞানী।
বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, তাঁদের পরামর্শ উপেক্ষা করে যে ভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শৈলশহরগুলিতে বিধি না মেনে বহুতল হয়েছে তাতে পরিস্থিতিকে আরও বিপদসঙ্কুল করে তুলেছে। মেঘালয়ের পাহাড়ে ৭-৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হবে তেমনই ইঙ্গিত কিন্তু ভূ-বিজ্ঞানীরা দিয়ে রেখেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy