Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Himachal Pradesh Assembly Election 2022

মুখ ছিলেন মোদীই, তবু পরাজয়ের গ্লানি নড্ডার, সভাপতির রাজ্যেই ক্ষমতাহারা পদ্ম

গুজরাতে বিপুল জয়। একই দিনে হিমাচলে ক্ষমতা ধরে রাখতে না পারায় বিমর্ষ বিজেপি। নড্ডার রাজ্যে বিজেপি হারলেও আসলে সেখানেও মুখ ছিলেন মোদী। স্ট্র্যাটেজি ছিল শাহের।

হিমাচলে বিজেপির হারকে নড্ডার পরাজয় বলা অনেকটাই কঠিন।

হিমাচলে বিজেপির হারকে নড্ডার পরাজয় বলা অনেকটাই কঠিন। ছবি: এএফপি।

পিনাকপাণি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৪২
Share: Save:

গুজরাত নিয়ে উৎসবের আবহ গেরুয়া শিবিরে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেই জয় নিয়ে দু’টি টুইট করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেই সেই টুইট। সেখানে অমিত শাহের উল্লেখও রয়েছে। কিন্তু তাঁর নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশ নিয়ে কোনও কথাই বলেননি নড্ডা। মোদী-শাহের রাজ্যে জয়ের দিনে নিজের প্রদেশে খারাপ ফলে কি বিমর্ষ তিনি?

এই প্রশ্নের জবাব না পাওয়া গেলেও এটা সকলেরই জানা যে, গুজরাতের মতো ওই রাজ্যেও ‘মোদীর মুখ’ই বিজেপির ভরসা ছিল। জয় পেলে মুখ্যমন্ত্রী পদে জয়রাম ঠাকুর ফের বসবেন বলে জানানো হলেও প্রচারে মোদীর কথাই বেশি বলেছে বিজেপি। আর তাতে এতটাই ভরসা ছিল যে, স্বয়ং নড্ডাও দাবি করেছিলেন, একতরফা জয় পাবে বিজেপি। কিন্তু ফল বলছে ক্ষমতার থেকে অনেকটা দূরে নড্ডার দল। প্রয়োজনের থেকে বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। হিমাচলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ‘রাজ’ বদলের ‘রেওয়াজ’ থাকলেও বিজেপি খুবই আশাবাদী ছিল। গণনার শুরুর দিকে সমানে সমানে টক্করের ইঙ্গিতও ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হিমাচল বুঝিয়ে দেয়, রাজ্যের রায় পালাবদলের ‘রেওয়াজ’-এর পক্ষেই।

নড্ডা নিজের রাজ্যে প্রচারে গিয়েছেন। তবে বেশি গুরুত্ব ছিল মোদীর সভাতেই। অমিত শাহও অনেকটা সময় দিয়েছেন। রণনীতি তৈরিতেও তাঁরই মাথা কাজ করেছে। এমনকি, নড্ডার চেয়ে বেশি সময় দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাঁচ দিনে ১৬টি বড় জনসভা করেন তিনি। সেই অর্থে হিমাচলে বিজেপির হারকে নড্ডার পরাজয় বলা অনেকটাই কঠিন।

হিমাচলেই রাজনীতি শুরু, সেখানেই বিধায়ক হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন, এখন নিজের রাজ্য থেকেই রাজ্যসভার সাংসদ নড্ডা। কিন্তু কোনও কালেই হিমাচলের নেতা ছিলেন না। বরং, বিজেপি সভাপতি হওয়ার আগে নড্ডার পরিচয় ছিল প্রেমকুমার ধুমল মন্ত্রিসভার মন্ত্রী বা মোদীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে।

তবে ইতিমধ্যেই হিমাচলে বিজেপির হারের কারণ নিয়ে যে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে তাতে দায়ী করা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কৌশলকেই। বিজেপি মূলত মোদীর কথা বলেছিল প্রচারে। লড়াইটা মোদী বনাম কংগ্রেস হিসাবে দেখেছিল। কিন্তু কংগ্রেস দিল্লি নয়, রাজ্য সরকারের কাজের সমালোচনা করেই ছিল হাতের প্রচার। ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াকেই কাজে লাগাতে চেয়েছে। আর তাতেই সফল কংগ্রেস।

নড্ডার প্রভাব যে রাজ্যে একেবারে নেই তা-ও নয়। খুব প্রকট না হলেও হিমাচল বিজেপিতে নড্ডা ও ধুমল শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রার্থী বাছাই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শিবিরের অভিযোগ ছিল, ২০টির মতো আসনে রাজ্যের কথাই শোনেননি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE