ছবি: সংগৃহীত।
রাজস্থান, কেরল এবং মধ্যপ্রদেশের পর এ বার হিমাচল প্রদেশেও বার্ড ফ্লু-র প্রকোপ দেখা দিল। হিমাচলের কাংরা জেলায় মহারানা প্রতাপ সাগর বাঁধ এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ১,৭০০ রাজহাঁস জাতীয় পরিযায়ী পাখির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে আপাতত মহারানা প্রতাপ সাগর হ্রদ এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি, বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণে কাংরা জেলার কিছু এলাকায় সমস্ত পোলট্রিজাত দ্রব্যের বিক্রি ও রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার কাংরার জেলাশাসক রাকেশকুমার প্রজাপতি জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ জারি না করা পর্যন্ত মহারানা প্রতাপ সাগর বাঁধ (পং ড্যাম) এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে হাঁস, মুরগি-সহ সমস্ত মানুষজন ঢোকা বন্ধ থাকবে। তা ছাড়া, ওই হ্রদ এলাকায় প্রায় ন’কিলোমিটার ধরে প্রশাসনিক নজরদারিও চলবে। কাংরা জেলার ফতেহপুর, দেহরা জাওয়ালি এবং ইনদোরা মহকুমায় সমস্ত খামারজাত হাঁস, মুরগি, ডিম, মাছ ইত্যাদির কাটা, কেনাবেচা এবং রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যে সমস্ত দোকানে এগুলি বিক্রি করা হত, তা-ও বন্ধ রাখতে হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সোমবারই কেরল সরকার জানিয়েছিল, গত কয়েক দিনে বার্ড ফ্লু-র জেরে আলাপ্পুঝা এবং কোট্টায়ম জেলায় প্রায় ১২ হাজার হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ রুখতে ওই জেলাগুলিতে ৩৬ হাজার হাঁস-মুরগিকে মেরে ফেলা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার।
আরও পড়ুন: চুক্তি ভিত্তিক কৃষিতে আগ্রহী নই, কৃষক বিক্ষোভের মাঝে ব্যাখ্যা রিলায়্যান্সের
আরও পড়ুন: দেশে করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত আরও ন’জনের সন্ধান, মোট আক্রান্ত ৩৮
রাজস্থানেও বার্ড ফ্লু-র প্রকোপে এখনও পর্যন্ত ৪২৫টি পাখির মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র সোমবারই ১৭০টি পাখি মারা গিয়েছে। ওই রাজ্যের পশুপালন দফতরের এক শীর্ষকর্তার কথায়, “ঝালাওয়ার জেলায় বার্ড ফ্লু-র প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে অন্যান্য জেলায় কী কারণে পাখির মৃত্যু হয়েছে, সে রিপোর্ট এখনও আসেনি।”
পাখিদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত এই রোগ বা বার্ড ফ্লু অত্যন্ত সংক্রামক। এইচ-৫এন-১ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের জেরে এটি হয়। সতর্ক না হলে মানবদেহেও এর সংক্রমণ হতে পারে। মধ্যপ্রদেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্তের হদিস মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy