রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।
স্মৃতি ইরানির পরে রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের নতুন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীও।
নিজের নামের আগে ‘ডক্টর’ কথাটি ব্যবহার করেন নিশঙ্ক। শ্রীলঙ্কার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জোড়া ‘ডক্টরেক্ট’ ডিগ্রি পান বলে দাবি মন্ত্রীর। নিশঙ্ক জানান, ’৯০-এর দশকে কলম্বোর ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ওআইইউ) প্রথমে তাঁকে সাহিত্যে অবদানের জন্য ‘ডি লিট’ দেয়। কয়েক বছর আগে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বিজ্ঞানে অবদানের জন্য আরও একটি ‘ডি লিট’ পান তিনি। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জানিয়েছে, ওই নামে দেশে কোনও নথিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ই নেই! ফলে অভিযোগ উঠেছে, নতুন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর ওই ডিগ্রি ভুয়ো।
ভুয়ো ডিগ্রির অভিযোগ উঠেছিল মোদী সরকারের প্রথম মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধেও। তিনিও দাবি করেছিলেন, আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। এ ছাড়াও বিভিন্ন হলফনামায় কখনও স্মৃতি দাবি করেছেন, তিনি বাণিজ্যে স্নাতক। কখনও দাবি করেছেন, তিনি কলাবিভাগে স্নাতক। পরে অবশ্য জানা যায়, তিনি আদৌ স্নাতকই নন! এর পরেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী পদ থেকে স্মৃতির ইস্তফা দাবি করেন বিরোধীরা। পরে নানা কারণে স্মৃতিকে ওই মন্ত্রক থেকে সরিয়েও দেন মোদী। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের অমেঠীর প্রার্থী হিসেবে দাখিল করা স্মৃতির হলফনামা থেকে স্পষ্ট হয়, স্মৃতি দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেছেন। এ বার মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই নিশঙ্কের ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফের অস্বস্তিতে বিজেপি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই নিজের জীবনীপঞ্জি এবং পাসপোর্টে দু’রকম জন্মতারিখ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিশঙ্কের বিরুদ্ধে। জীবনীপঞ্জিতে নিশঙ্কের জন্মতারিখ ১৫ অগস্ট, ১৯৫৯। কিন্তু পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী তাঁর জন্ম ১৯৫৯ সালের ১৫ জুলাই। শনিবার একটি বিবৃতি দিয়ে নিশঙ্ক অবশ্য জানিয়েছেন, একটি জন্মতারিখ হিন্দু জন্মপত্রিকা অনুযায়ী। অন্যটি স্কুল সার্টিফিকেট অনুযায়ী।
এর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে ‘‘জ্যোতিষচর্চা সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান’’ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নিশঙ্ক। এ বার জড়ালেন ডিগ্রি বিতর্কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy