Advertisement
E-Paper

‘ছেলেরা এটিএম নয়’! স্ত্রীদের বিরুদ্ধে পথে ‘অত্যাচারিত’ স্বামীরা, চাই ‘পুরুষ কমিশন’

গুজরাতের সুরাতে সম্প্রতি পুরুষের অধিকারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান এক দল যুবক। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা সকলেই স্ত্রীদের দ্বারা ‘অত্যাচারিত’। অন্যায় ভাবে আইনের সুযোগ নেন মহিলারা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:০৮
পুরুষদের অধিকারের দাবিতে সুরাতের রাস্তায় বিক্ষোভ।

পুরুষদের অধিকারের দাবিতে সুরাতের রাস্তায় বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত।

‘ছেলেরা এটিএম নয়’। গুজরাতের রাস্তায় এমনই প্ল্যাকার্ড হাতে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে রইলেন এক দল পুরুষ। দাবি, তাঁরা সকলেই স্ত্রীদের দ্বারা অত্যাচারিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্যায় ভাবে আইনের সুযোগ নেন মহিলারা। এই পরিস্থিতির বদল চেয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। মহিলা কমিশনের মতো পুরুষ কমিশনের দাবিও তুলেছেন তাঁরা। কিছু দিন আগে বেঙ্গালুরুতে ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছিল। স্ত্রীর বিরুদ্ধে হেনস্থা, একাধিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে গিয়েছেন অতুল। সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই গুজরাতে ‘প্রতিরোধ’ গড়ে তুলতে চান পুরুষেরা।

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, শুধু মহিলারা নন, সমাজে পুরুষেরাও অত্যাচারিত, নিগৃহীত হয়ে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগের তির থাকে মহিলাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু অন্যায় করলেও পার পেয়ে যান তাঁরা। পুরুষদের ভাগ্যে ‘বিচার’ জোটে না। সে সব ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। সমাজের এই ‘সিস্টেম’ আন্দোলনকারীরা বদলাতে চান। এই ‘সিস্টেম’-এর বলিই হয়েছেন অতুল, দাবি বিক্ষোভকারীদের। সম্প্রতি তাঁরা গুজরাতের সুরাতের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান। পুরুষদের জন্য বিচার চেয়ে একাধিক স্লোগান লেখেন প্ল্যাকার্ডে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘পুরুষেরা এটিএম নয়’। অভিযোগ, পুরুষদের কেবল টাকা রোজগারের মাধ্যম হিসাবে দেখেন মহিলাদের একাংশ। তার বিরুদ্ধে বার্তা দেওয়া হয়েছে এই প্ল্যাকার্ডে। এ ছাড়াও সুরাতের রাস্তায় প্ল্যাকার্ডগুলিতে লেখা ছিল— ‘মিথ্যা মামলা জঘন্য অপরাধ’, ‘পুরুষ বাঁচাও দেশ বাঁচাও’, ‘আইন সকলের জন্য সমান’, ‘মহিলাদের উচিত ভরণপোষণ না নিয়ে চাকরি খোঁজা, সেটাই লিঙ্গবৈষম্য’ ইত্যাদি।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকেই অনেকে পুরুষ কমিশনের দাবি তোলেন। সমাজে পুরুষদের অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য সরকারের এই ধরনের কমিশন তৈরি করা উচিত বলে মনে করেন তাঁরা। স্ত্রী বা অন্য কোনও মহিলার আনা অভিযোগে এবং হেনস্থায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কত পুরুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন, তার একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে। পুরুষদের বিরুদ্ধে ওঠে ধর্ষণের অভিযোগগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যা হিসাবে প্রমাণিত হয়, দাবি ওই বিক্ষোভকারীদের। তাঁরা জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযোগে শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নন, তাঁর পরিবারকেও সমান ভাবে মানসিক অশান্তির শিকার হতে হয়। অবিলম্বে এই পরিস্থিতির বদল চেয়েছেন তাঁরা।

কিছু দিন আগে বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাট থেকে ইঞ্জিনিয়ার অতুলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি ২৪ পাতার সুইসাইড নোট এবং দেড় ঘণ্টার মৃত্যুকালীন ভিডিয়োবার্তা রেখে গিয়েছেন। সেখানেই স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়ার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন অতুল। পারিবারিক আদালতে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। কিন্তু মানসিক চাপ সহ্য করতে না-পেরে তিনি আত্মঘাতী হন।

Protest men Gujarat Surat Atul Subhash
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy