Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

ডোকলাম-বিতর্কে ইতি, সরলো সেনা

ডোকলাম বিতর্কে আগাগোড়া চড়া সুর বজায় রাখা চিন অবশ্য এ দিনও নরম হওয়ার ইঙ্গিত দেয়নি। তাদের বিদেশ মন্ত্রক দাবি করে, ডোকলামে ‘অনুপ্রবেশকারী’ ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চিনা সেনারা সে কথা বেজিংকে জানিয়েছে।

পাশাপাশি: সীমান্তে চিনা এবং ভারতীয় সেনা। ফাইল চিত্র।

পাশাপাশি: সীমান্তে চিনা এবং ভারতীয় সেনা। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২১
Share: Save:

ব্রিক্‌স সম্মেলনে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদীর চিন যাওয়ার সপ্তাহখানেক আগে ডোকলামে সংঘাতের পরিস্থিতির আপাত অবসান হল।

আজ দুপুর বারোটা নাগাদ ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানায়, ডোকলাম থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে দু’পক্ষই। ডোকলাম বিতর্কে আগাগোড়া চড়া সুর বজায় রাখা চিন অবশ্য এ দিনও নরম হওয়ার ইঙ্গিত দেয়নি। তাদের বিদেশ মন্ত্রক দাবি করে, ডোকলামে ‘অনুপ্রবেশকারী’ ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চিনা সেনারা সে কথা বেজিংকে জানিয়েছে। বেজিংয়ের দাবি, নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ করেছে চিনা সেনা। ভারত ডোকলাম থেকে সেনা সরালেও চিন সেখানে সেনা টহল চালিয়ে যাবে। গোড়ায় চিনের বিবৃতি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া না জানালেও পরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ফের বিবৃতি দিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। বলা হয়, দু’দেশই সেনা সরাচ্ছে। সে কাজ প্রায় শেষও হয়ে গিয়েছে। তবে কোন পক্ষ আগে সেনা সরিয়েছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি।

কূটনৈতিক সূত্রে খবর, প্রকাশ্যে নরম হওয়ার লক্ষণ না দেখালেও দীর্ঘ কূটনৈতিক আলোচনায় ডোকলামে রাস্তা তৈরি নিয়ে ভারতের উদ্বেগের ফলে সেখানে আপাতত রাস্তা না তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছে চিন। ভারতীয় সেনা ও বুলডোজারের পাশাপাশি চিনা সেনা ও বুলডোজারও বিতর্কিত এলাকা থেকে সরে গিয়েছে। ত্রিদেশীয় সীমান্ত নিয়ে ২০১২ সালের সমঝোতা মেনে চলারও আশ্বাস দিয়েছে চিন।

কিছু কূটনীতিকের মতে, গোটা ঘটনায় আসলে ফের চিনের হাতে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে ভারতকে। ব্রিক্‌স সম্মেলনের কথা মাথায় রেখে অবস্থান নরম করতে বাধ্য হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়তের মতোই ওই কূটনীতিকরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে ফের সেনা সংঘাতের পরিস্থিতি হতে পারে ডোকলামে।

কূটনীতিকদের অন্য অংশের মতে, চিনা সেনা প্রত্যাহার ভারতের কাছে একটি বড় জয়। সামনেই চিনের পার্টি কংগ্রেস রয়েছে। এই অবস্থায় ডোকলাম প্রশ্নে প্রকাশ্যে নরম অবস্থান নেওয়া সম্ভব নয় চিনের পক্ষেও। তাই ভারতের সেনা প্রত্যাহারকে নিজেদের জয় বলে ব্যাখ্যা করছে বেজিং।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE