—ফাইল চিত্র।
পূর্ব লাদাখ সংলগ্ন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে আবার গত এপ্রিল মাসের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া খুব সহজ হবে না বলে মনে করছে ভারত। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফেরাতে সামরিক স্তরের বৈঠকে মুখে রাজি হলেও, প্রকৃত পক্ষে লালফৌজ পিছু হটতে কতটা ঐকান্তিক তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে সাউথ ব্লকের। কূটনৈতিক সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে।
কাল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, দু’জনেই একমত হয়েছেন যে সামরিক এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা ফেরানোর চেষ্টা চালাতে হবে। কিন্তু এটাও ঘরোয়া ভাবে স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে যে এই মুহূর্তে দু’পক্ষেরমধ্যে তৈরি হওয়া গভীর অবিশ্বাস স্থিতাবস্থা ফেরানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, পশ্চাদপসরণের ক্ষেত্রে নিয়ম হল প্রাথমিক ভাবে কয়েকশো মিটার পিছু হটতে হবে। তারপর দফায় দফায় প্রতি ৭২ ঘণ্টায় পিছনে যাওয়া। সেক্ষেত্রে দু’পক্ষই একে অন্যের অবস্থান যাচাই করে। কিন্তু এই তীব্র অবিশ্বাসের বাতাবরণে যাচাই করার প্রক্রিয়াটিও কতটা সহজ হবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকেই যাচ্ছে। এটাও মনে রাখতে হবে যে ১৫ জুনের রাতে কর্নেল সন্তোষ বাবু আক্রান্ত হয়েছিলেন চিনের সেনারা কোথায় তা যাচাই করে দেখতে গিয়েই।
কালই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, ভারত আশা করছে দ্রুত সীমান্তে শান্তি ও সুস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ করবে চিন।জানানো হয় সেনার পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও কথা অব্যাহত থাকবে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি কিছু বহুপাক্ষিক স্তরেওমুখোমুখি হয়েছেন ভারত ও চিনের কর্তারা। এর আগে রাশিয়া, চিনও ভারতের রিক গোষ্ঠীর বৈঠকে তিন বিদেশমন্ত্রী ভিডিয়ো সম্মেলনেমুখোমুখি হন। কাল ব্রিকসভুক্ত দেশগুলির কূটনৈতিক শেরপাদের মধ্যে একটি ভিডিয়ো বৈঠক হয়। সেখানে ব্রাজিল ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য ও চিনের উপবিদেশমন্ত্রী মা ঝাংশু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy