ভারত এবং চিনের মধ্যে আবার সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালু হবে, তা আগেই জানা গিয়েছিল। সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’ সূত্রে খবর, আগামী মাসের প্রথম দিকে এই রুটে উড়ান পরিষেবা পুনরায় শুরু হতে পারে। আরও জানা গিয়েছে, ভারত সরকারের তরফে এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগোর মতো বিমান সংস্থাগুলিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কবে থেকে এই পরিষেবা চালু হবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে কম সময়ের নোটিসে যাতে বিমান সংস্থাগুলি উড়ান পরিষেবা শুরু করতে পারে, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
ভারত এবং চিনের কূটনৈতিক শীতলতা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা শান্ত। অতিমারিও এখন অতীত। সেই আবহে আবার দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। ভারতীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়েছিল, এই বিষয়ে বেজিঙের সঙ্গে কথা বলছে বিদেশ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন:
ভারত এবং চিনের মধ্যে সরাসরি উড়ান যে আবার চালু হতে পারে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন চিনের কনসাল জেনারেল জু ওয়েই। কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে জানান, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালু করতে ক্রমাগত কথা বলছে ভারত এবং চিন।
গত জানুয়ারি মাসে ভারত-চিনের মধ্যে সরাসরি উড়ান পরিষেবা ফের চালু করা নিয়ে প্রথম সচেষ্ট হয় নয়াদিল্লি। তার আগে চিন সফরে গিয়েছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী। তার পরেই বিবৃতি দিয়ে উড়ান পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল নয়াদিল্লি।
করোনার বাড়বাড়ন্তের পর থেকে ভারত এবং চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা স্থগিত হয়ে যায়। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় এলএসি পেরিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছিল চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে। উত্তেজনার আবহে ওই বছরের ১৫ জুন গালওয়ানে চিনা হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় সেনা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় জওয়ানদের পাল্টা হামলায় বেশ কয়েক জন চিনা সেনাও নিহত হয়েছিলেন। সেখান থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে কিছুটা শীতলতা তৈরি হয়েছিল। সেই অবস্থায় করোনার প্রভাব কাটলেও আর দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু হয়নি। অবশেষে আবার ভারত এবং চিনের মধ্যে সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালুর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।