India Pakistan Conflict: Have a look at third-generation anti-tank guided missile (ATGM)
URL Copied
দেশ
শত্রু ট্যাঙ্ককে এক নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে ভারতের এই ‘নাগ’
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:০৪
Advertisement
১ / ১১
মারাত্মক এই সাপের একটা ছোবলেই নিশ্চিত মৃত্যু। ঠিক তেমনই এক অস্ত্র রয়েছে ভারতের অস্ত্রাগারে। বিশাল প্রান্তর দিয়ে যদি হানা দেয় শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক, তা হলে রুখে দেবে এই অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) ‘নাগ’।
২ / ১১
২০১৫ সালে ভারতীয় বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিল নাগ ক্ষেপণাস্ত্র। এখন তা অনেকটাই উন্নত। ২০১৯ সালের মধ্যে তৃতীয় প্রজন্মের নাগ ক্ষেপণাস্ত্র বানানো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র।
Advertisement
Advertisement
৩ / ১১
বেঙ্গালুরুতে ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০১৯’ শোয়ে, ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (ডিআরডিও) মিসাইল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক সিস্টেমের ডিরেক্টর জেনারেল এমএসআর প্রসাদ বলেন, মে-জুন মাসেই পরীক্ষামূলক ব্যবহার চূড়ান্ত হবে তৃতীয় প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্রর। খুব দ্রুত এটি ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে, জানান তিনি।
৪ / ১১
এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর নির্ভুল ভাবে নিজেই খুঁজে নেয় লক্ষ্যবস্তুকে। অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) নাগকে ভূমি এবং আকাশ, দুই জায়গা থেকেই ছোড়া যায়। প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্কই মূলত এই ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য। লঞ্চিং প্যাড থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে থাকা ট্যাঙ্ককেও নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে নাগ।
Advertisement
৫ / ১১
পাকিস্তানের সঙ্গে যদি সঙ্ঘাত হয়, তা হলে পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে, বিশেষ করে রাজস্থানের বিরাট মরু অঞ্চল দিয়ে বড়সড় ট্যাঙ্ক হানার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তাই ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৬ / ১১
সীমান্তজুড়ে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি, ছোট ও মাঝারি পাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র মোতায়েন করেছে পাকিস্তান, সূত্র বলছে এমনটাই। পাল্টা মোকাবিলায় তাই নাগ-কে প্রস্তুত রাখছে ভারতও।
৭ / ১১
আশির দশকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের হাত ধরে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ডিআরডিওর কাছ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী আপাতত ৮ হাজার নাগ কিনবে, প্রথমে ৫০০টি নাগের জন্য ‘অর্ডার’-ও দিয়েছে তারা।
৮ / ১১
একেবারে গোড়ায় রাতের পরীক্ষায় নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারলেও দিনের বেলায় মরুভূমির মারাত্মক তাপমাত্রায় ব্যর্থ হচ্ছিল নাগ। সেই কারণেই এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি আরও অত্যাধুনিক করার কাজে হাত দেয় ডিআরডিও। আরও শক্তিশালী এবং আধুনিক ইনফ্রারেড সিকার লাগানো হয় নাগে। এই নতুন সংস্করণের নাম দেওয়া হয় ‘প্রসপিনা’।
৯ / ১১
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের মরু অঞ্চলে চন্দন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে দিনের বেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে ছোড়া হয় নাগ। সে পরীক্ষায় প্রসপিনা নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। এই ভয়ঙ্কর ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রকে বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে খুব তাড়াতাড়ি।
১০ / ১১
নাগ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করবে ‘নামিকা’ কেরিয়ার। একসঙ্গে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম এটি। ডিআরডিও এমন একটি নাগ ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি করছে, যেটির ওজন মাত্র ১৪ কিলোগ্রাম। একে নাগের ‘মানব বহনক্ষম সংস্করণ’ বলা হচ্ছে। অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) তৈরি করেছে ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেড।
১১ / ১১
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুবাদে নাগ যে ভাবে বিধ্বংসী আঘাত হানতে শুরু করেছে, তাতে পাকিস্তানের স্বস্তি উধাও হতে বা