ভারতীয় নৌসেনার চক্র-২ সাবমেরিন। ফাইল চিত্র।
একুশ হাজার কোটি টাকা দিয়ে একটি পরমাণু অস্ত্রবাহী অত্যাধুনিক সাবমেরিন যুক্ত করা হচ্ছে ভারতীয় নৌসেনার অস্ত্রসম্ভারে। রাশিয়া থেকে এই সামরিক ডুবোজাহাজ দশ বছরের জন্য লিজ নিতে চুক্তিবদ্ধ হল ভারত। আকুলা পর্যায়ের এই চক্র-৩ অ্যাটাক সাবমেরিন ভারতের হাতে চলে আসবে ২০২৫ সালের মধ্যেই। ভারত মহাসাগরে চিনের বাড়তে থাকা আধিপত্যে লাগাম টানতে এই ডুবোজাহাজ খুবই কার্যকরী হবে বলেই মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের।
আইএনএস চক্র-৩ নামের এই সামরিক ডুবোজাহাজটি পেতে দীর্ঘ দিন ধরেই রাশিয়ার সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালাচ্ছিল ভারত। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় নৌসেনার অস্ত্রসম্ভারে যুক্ত হয়েছে মোট তিনটি রুশ সামরিক ডুবোজাহাজ। ১৯৮৮ সালে তিন বছরের জন্য পরমাণু অস্ত্রবাহী আইএনএস চক্র সাবমেরিন লিজ নিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা। ২০১২ সালে ভারতের হাতে এসেছিল আরও উন্নত পরমাণু অস্ত্রবাহী সামরিক ডুবোজাহাজ আইএনএস চক্র-২। সেই ডুবোজাহাজটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০২২ সালে। অর্থাৎ, সমুদ্রে সুরক্ষার জন্য আরও একটি ডুবোজাহাজের প্রয়োজন ছিল ভারতের। আইএনএস চক্র-৩ এলে মিটবে সেই প্রয়োজন। আপাতত দশ বছরের জন্য আসছে এই ডুবোজাহাজ। এর ফলে ভারত মহাসাগরের বুকে চিনের উপস্থিতি সত্ত্বেও নিজের প্রভাব অনেকটাই বাড়াতে পারবে ভারতীয় নৌসেনা।
উত্তরপ্রদেশের অমেঠিতে কয়েক দিন আগেই ভারত-রুশ যৌথ উদ্যোগে কালাশনিকভ রাইফেল তৈরির কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। তার ঠিক পরেই সামনে এল রুশ ডুবোজাহাজ নিয়ে চুক্তির খবর। যদিও এই ডুবোজাহাজের ভারতে আসা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
ভারতীয় নৌসেনার স্করপিন গোত্রের ডুবোজাহাজ খান্ডেরি। ফাইল চিত্র।
এই রুশ ডুবোজাহাজগুলি বাদ দিলে এই মুহূর্তে ভারতের হাতে আছে আরও ১৩টি সাবমেরিন।এর মধ্যে আছে স্করপিন পর্যায়ের আইএনএস কালবরি এবং নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি পরমাণু অস্ত্রবাহী ব্যালিস্টিক সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত। এ ছাড়া অরিহন্ত গোত্রের দ্বিতীয় সাবমেরিন অরিঘাত ২০২১ সালের মধ্যেই ভারতীয় নৌসেনার হাতে চলে আসার কথা।
আরও পড়ুন: বিকানেরে ভেঙে পড়ল মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান, নিরাপদে অবতরণ পাইলটের
এ ছাড়া এপ্রিলের শেষেই ভারতীয় নৌসেনা পেয়ে যাবে স্করপিন পর্যায়ের দ্বিতীয় ডুবোজাহাজ খান্ডেরি। দীর্ঘ দিন ধরেই ভারত মহাসাগরে নিজের শক্তি বাড়াতে চাইছে ভারত। কারণ, গত কয়েক বছরে নিজেদের নৌসেনার শক্তি বহু গুণে বাড়িয়েছে চিন। পরমাণু অস্ত্রবাহী ব্যালিস্টিক এবং অ্যাটাক, এই দু’টি গোত্র মিলিয়ে এই মুহূর্তে চিনের হাতে আছে দশটি সাবমেরিন, যা ভারতের থেকে অনেকটাই বেশি। যদিও পরিকল্পনা মাফিক পর পর সামরিক সাবমেরিনগুলি চলে এলে চিনের প্রভাব ছাড়িয়ে অনেকটাই শক্তিশালী হবে ভারত, এমনটাই অনুমান সামরিক বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: হামলা হলে জবাবে তৈরি ভারতীয় বায়ুসেনা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy