Advertisement
E-Paper

আমিরশাহির শারজায় উদ্ধার ভারতীয় বধূর দেহ! স্বামী, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচারের অভিযোগ

খলিজ টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহিলার ঘর থেকে মলয়ালম ভাষায় লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে তিনি শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৫
কেরলের বধূ বিপঞ্চিকা মনিয়ান। ছবি: সংগৃহীত।

কেরলের বধূ বিপঞ্চিকা মনিয়ান। ছবি: সংগৃহীত।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজায় একটি আবাসন থেকে এক ভারতীয় বধূ এবং তাঁর সন্তানের দেহ উদ্ধার হল। মৃতার নাম বিপঞ্চিকা মনিয়ান। তিনি কেরলের কোল্লমের বাসিন্দা। গত ৮ জুলাই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পাশেই পড়েছিল তাঁর এক বছরের কন্যাসন্তানের দেহ। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে বিপঞ্চিকার পরিবার।

খলিজ টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহিলার ঘর থেকে মলয়ালম ভাষায় একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে তিনি শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছেন। জামাই নিধেশ বালিয়াভিত্তিল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিপঞ্চিকাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর মা শ্যামলা। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বিপঞ্চিকাকে। তা নিয়ে নিত্যদিন অশান্তি হত।

খলিজ টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিপঞ্চিকা এবং নিধেশের বিয়ে হয়। তার পর শারজায় চলে যান। বিপঞ্চিকার মায়ের অভিযোগ, শারজায় পৌঁছোনোর কয়েক দিন পর থেকেই তাঁর কন্যার উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। তাঁর চুল কেটে নেওয়া হয়। যেহেতু বিপঞ্চিকা গায়ের রং ফর্সা এবং তাঁর স্বামীর গায়ের রং চাপা ছিল, তার জন্যও বিপঞ্চিকাকে নানা রকম ভাবে হেনস্থা করা হত বলে অভিযোগ। তাঁর নাতনিকেও মারধর করা হত। এই অশান্তির জেরে শারজায় আল নাদা নামে একটি জায়গায় সন্তানকে নিয়ে থাকা শুরু করেছিলেন বিপঞ্চিকা। তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠান নিধেশ। ক্রমাগত নির্যাতন এবং হেনস্থার শিকার হয়ে শেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বিপঞ্চিকা। অভিযোগপত্রে এমনই জানিয়েছেন বিপঞ্চিকার মা। শুধু তা-ই নয়, কন্যাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, কন্যাকে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন বিপঞ্চিকা।

Suicide Kerala Sharjah
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy