Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

বিধি মেনে ভ্রমণের ডাক দিল কাশ্মীর

পর্যটকেরা পাড়ি দিতে পারেন শ্রীনগর থেকে প্রায় ৪৫ কিমি দূরের ইয়ুসমার্গে। এ ছাড়াও রয়েছে, দুধপাতরি, গুরেজ, কোকেরাং, বেঙ্গিস ভ্যালি, টোডা ময়দান।

গন্ডেরবাল থেকে হরমুখ শৃঙ্গ। ফাইল চিত্র

গন্ডেরবাল থেকে হরমুখ শৃঙ্গ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ০৫:১৪
Share: Save:

কাশ্মীর মানেই পর্যটন। বেশির ভাগ ভ্রমণপিপাসু বাঙালিরই গন্তব্যের প্রথম পছন্দ ভূস্বর্গ। তাই ‘নিউ নর্মাল’-এ সেখানে পর্যটকদের নিয়ে যেতে বাংলায় হাজির জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন দফতরের কর্তারা।

যাঁরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চেনা শ্রীনগর, গুলমার্গ, সোনমার্গ, পহেলগাঁওয়ের পাশাপাশি অচে‌না ভূস্বর্গের স্বাদ নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। পর্যটকেরা পাড়ি দিতে পারেন শ্রীনগর থেকে প্রায় ৪৫ কিমি দূরের ইয়ুসমার্গে। যেখানে ঘোড়ার পিঠে চেপে পাইনের জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের চড়াই উতরাই পথে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে, দুধপাতরি, গুরেজ, কোকেরাং, বেঙ্গিস ভ্যালি, টোডা ময়দান। কাশ্মীর পর্যটনের উপঅধিকর্তা আহসানুল হক চিস্তি বলেন, ‘‘পর্যটকেরা আনকোরা এই ঠিকানাগুলিতে গিয়ে নিরিবিলিতে সময় কাটাতেই পারেন। তাতে স্থানীয় পর্যটনের বিকাশও ঘটবে।’’

পর্যটকদের সংশয় কাটাতে সম্প্রতি কলকাতায় এসে বিভিন্ন পর্যটন সংগঠন ও ভ্রমণ সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলেন ভূস্বর্গের পর্যটন দফতরের উপ অধিকর্তা ইদিল সালেম ও আহসানুল হক চিস্তি। প্রতি বছরই পুজো এবং গরম-শীতের ছুটিতে বাংলা থেকে প্রচুর পর্যটক পাড়ি দেন ডাল লেকের শহরে। সেখানকার পর্যটন দফতরের হিসেব বলছে, যে তিনটি রাজ্য থেকে সব থেকে বেশি পর্যটক কাশ্মীরে যান, তার অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। এ ছাড়াও রয়েছে গুজরাত ও মহারাষ্ট্র। ফের কবে পর্যটকেরা তাঁদের শহরে পা রাখবেন, তারই অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন ওয়াহিদ মালিকেরা। কাশ্মীর হোটেল ও রেস্তরাঁ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়াহিদ বলেন, ‘‘করোনা বিধি মেনেই ৫০ শতাংশ হোটেল খুলে গিয়েছে।’’

খুশি এখানকার ভ্রমণ সংগঠনও। ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সভাপতি বাচ্চু চৌধুরী বলেন, ‘‘সাত-আট মাস ধরে আমরা মানসিক বিপর্যস্ত। সেখানে কাশ্মীর পর্যটন আবার পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিল। যেখানে পর্যটক ফোন করে বলবেন, ‘কী অসাধারণ ঘর। কিংবা আর একটু পাহাড় ফেসিং রুম মিলবে কী?’’’ ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ভূস্বর্গে ঢুঁ মারতে অনেক বাঙালিই খোঁজ নিতে শুরু করেছেন। তাই সেখানে বিমানবন্দরে নামামাত্রই সরকারি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে কয়েক মিনিটেই মিলবে রিপোর্ট। উপসর্গহীন করোনা রোগী থাকলে তাঁকে পাঠানো হবে না কোয়রান্টিন সেন্টারে। বদলে পছন্দের হোটেলের ঘরে বসেই প্রাকৃতিক নৈসর্গ উপভোগ করতে পারবেন। তবে হোটেল ছেড়ে বেরোতে পারবেন না। তাঁর স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখবে স্থানীয় প্রশাসন।

কিন্তু করোনা-আবহে খরচ কি বাড়বে ভূস্বর্গ ভ্রমণে? ‘ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’র পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান মানব সোনি বলেন, ‘‘করোনায় সুরক্ষার দিকটা দেখতে গেলে খরচ কিছুটা বেশিই হবে। তবে কাশ্মীর প্রথম রাজ্য যে শীতকালে বাঙালিদের ভ্রমণের দরজা খুলে দিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Jammu And Kashmir Tourism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE