জুভেনাইল বোর্ড জানিয়েছে, ওই হত্যা মামলায় অভিযুক্তকে সাবালক হিসেবে ধরে নিয়ে তার বিচার চলবে। তাই মামলাটি জুভেনাইল আদালত থেকে গুরুগ্রাম দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ছ’মাস কারাদণ্ড শেষে ছাড়া পেলেন বিচারপতি কারনান
রাস্তায় থুতু ফেললেই খবরের কাগজে ছবি!
গত ৮ সেপ্টেম্বর রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরকে শৌচাগারের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার গলার নলি কাটা ছিল। খুনের অভিযোগে স্কুলেরই এক বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে, যৌন নিগ্রহের পর খুন করা হয় প্রদ্যুম্নকে। কিন্ত পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, যৌন নিগ্রহের কোনও প্রমাণ মেলেনি সাত বছরের ওই পড়ুয়ার শরীরে। পরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, নিজের বাবার সামনে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে ওই কিশোর। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, শিক্ষক-অভিভাবক বৈঠক পিছোতে স্কুলে ছুটি ঘোষণার ছক কষেছিল সে। আর সেই কারণেই ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্নকে।
নির্ভয়া কাণ্ডের পরে ২০১৫ সালে বদলানো হয় দেশের জুভেনাইল জাস্টিস আইন। নয়া আইন অনুযায়ী, ১৬-১৮ বছরের কেউ যদি ধর্ষণ বা খুনের মতো নৃশংস কোনও অপরাধ করে, তা হলে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো তারও বিচার হতে পারে। যেহেতু ওই ছাত্রের বয়স ১৬, তাই তার বিচার প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই হওয়া উচিত বলে মনে করছে জুভেনাইল বোর্ড।
বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রদ্যুম্নের বাবা বরুণ ঠাকুর। একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘বিচার বিভাগের এই সিদ্ধান্তে আমি খুশি। আমি জানি এই যাত্রাপথ খুব লম্বা। তবে আমরা শেষ অবধি যাব। শুধু আমার সন্তান নয়, প্রদ্যুম্নের মতোই আরও অনেকের জন্য ন্যায়বিচার চাই।’’