Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শিখার বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে বৈঠক করিমগঞ্জে

করিমগঞ্জের পুরনেত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের পর ৬ মাস কাটতে চলেছে। পুরআইন অনুযায়ী, ৬ মাস পর ফের অনাস্থা নিয়ে আসা যায়। রাজনৈতিক শিবিরের খবর, বিজেপির কয়েক জন পুরসদস্য এ নিয়ে দলের অন্দরমহলে সক্রিয় হয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৯
Share: Save:

করিমগঞ্জের পুরনেত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের পর ৬ মাস কাটতে চলেছে। পুরআইন অনুযায়ী, ৬ মাস পর ফের অনাস্থা নিয়ে আসা যায়। রাজনৈতিক শিবিরের খবর, বিজেপির কয়েক জন পুরসদস্য এ নিয়ে দলের অন্দরমহলে সক্রিয় হয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, এ নিয়ে গত কাল করিমগঞ্জের বিজেপি দফতরে গোপন বৈঠক হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে দলীয় নেতৃত্ব ওই বৈঠকের খবর স্বীকার করেননি।

বৈঠকে এক পুরসদস্য বহিষ্কৃত বিজেপি পুরসদস্যদের দলে ফেরানোর প্রস্তাব দেন। তিনি জানান, বহিষ্কৃত ৫ দলীয় সদস্য ছাড়া কোনও ভাবেই অনাস্থা ভোট জেতা সম্ভব নয়। এখন করিমগঞ্জ পুরসভায় ১২ জন কংগ্রেসের, বিজেপির ১০ এবং গেরুয়া দলের ৫ জন নিলম্বিত সদস্য রয়েছেন।

গত কালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, প্রদেশ বিজেপির উপ-সভাপতি মিশনরঞ্জন দাস। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে মিশনবাবু জানান, পুরসভার অনাস্থা পাশ করাতে না পেরে তিনি লজ্জিত। তাই যে ৫ সদস্য দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা লিখিত ভাবে ক্ষমা না চাইলে দলে ফেরানো সম্ভব নয়। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে
যোগ দেওয়া এক পুরসদস্য সাসপেন্ড বিজেপি নেতাদের দলে ফেরানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তা নাকচ করা হয়।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া এক পুরসদস্য জানান, পুরসভার অনাস্থা ভোট গোপন ব্যালটে করা হয়েছিল। দলীয় নেতৃত্ব কী ভাবে টের পেলেন যে তাঁরাই ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন। অযৌক্তিক কারণে তাঁদের দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তাই লিখিত ভাবে দলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভুল করলে
ক্ষমা চাওয়া যায়। না হলে হাতজোড় করবো কেন?’’

জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য অবশ্য বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Karimganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE