—প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি নয়, কর্নাটকে কংগ্রেস সরকার রাজ্যের শিক্ষানীতি চালু করবে বলে জানিয়ে দিলেন প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী মধু বঙ্গারাপ্পা। শনিবার একটি মডেল প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শনের পরে মধু বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কর্নাটকে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা হবে না। তার বদলে আমরা পেশাদার দলকে নিয়ে গঠিত রাজ্যের শিক্ষানীতি চালু করার পরিকল্পনা করেছি।’’
এর আগে কর্নাটকের পরিবহণমন্ত্রী রামলিঙ্গ রেড্ডি জাতীয় শিক্ষানীতিকে ‘একপেশে’ বলে সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘জাতীয় শিক্ষানীতি ভাল নয়। এটা একপেশে। এটা একটা গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে অনেক ধর্ম আছে। আমরা রাজ্যের আলাদা শিক্ষানীতি চালু করব।’’
দিন কয়েক আগেই বাজেট বক্তৃতার সময় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করবেন না। তা প্রত্যাহার করে পৃথক শিক্ষানীতি চালু করা হবে। তার পরেই দুই মন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বহু সমালোচিত জাতীয় শিক্ষানীতি নিজেদের রাজ্যে চালু রাখতে চায় না কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। ওই শিক্ষানীতির সমালোচনায় সরব হয়েছেন দেশের প্রথম সারির শিক্ষাবিদদের বড় অংশই। বিদেশের বহু শিক্ষাবিদও কেন্দ্রের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির সমালোচনা করেছেন।
সিদ্দারামাইয়ার বক্তব্য, ভারতের মতো বহুভাষিক, বহু ধর্ম, সংস্কৃতির দেশে কোনও এক রকম শিক্ষানীতি চলতে পারে না। বৈচিত্রের বিষয়টি মাথায় রেখেই শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যেই জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা হয়েছে। স্কুল স্তরেও এই শিক্ষানীতি চালু করতে চলেছে বহু রাজ্য। শিক্ষাবিদদের বড় অংশের অভিযোগ, বিজ্ঞানে বিবর্তনবাদের তত্ত্ব, ইতিহাসে মুঘল অধ্যায় বাদ দিয়ে এবং বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দুত্ববাদী নেতাদের লেখা চালু করে আদতে নিজেদের সংকীর্ণ মনোভাব তুলে ধরেছে বিজেপি সরকার। এর ফলে ছাত্রসমাজের বড় ক্ষতি হবে।
কংগ্রেসের বড় অংশেরই বক্তব্য, জাতীয় শিক্ষানীতির বদলে নতুন শিক্ষানীতি চালু করা দরকার। তবে সে জন্য তাড়াহুড়ো করলে আখেরে ক্ষতি হবে পড়ুয়াদেরই। সে কারণে সময় নিয়ে বিষয়টিতে এগোতেচায় কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy