রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের পর এ বার কেরলও বিতর্কিত কাশির সিরাপ ‘কোল্ডরিফ’ বিক্রি নিষিদ্ধ করল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেছেন, যে ব্যাচের সিরাপ খেয়ে অন্য দুটি রাজ্যে ১০ জন শিশু মারা গিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা কেরলে এখনও বিক্রি করা হয়নি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই শনিবার এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
কাশির সিরাপ খেয়ে পরপর শিশুমৃত্যুর ঘটনায় সিরাপ নির্মাতা সংস্থা স্রেসন ফার্মার তৈরি সমস্ত ওষুধই নিষিদ্ধ করেছে রাজস্থান সরকার। এর আগে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার রাজারাম শর্মাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কী ভাবে ওই ওষুধগুলি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল, তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ওই কাশির সিরাপখেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশ। যদিও প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ সরকার বলে আসছে, তারা রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। ‘বিষাক্ত’ সিরাপ খেয়ে রাজস্থানের সিকার জেলাতেও এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
তামিলনাড়ু সরকারও ওই সিরাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। তামিলনাড়ু ড্রাগস কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের গোপন চিঠি সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে শনিবার মধ্যপ্রদেশ সরকারও ওই কাশির সিরাপ নিষিদ্ধ করে। ওই বিষাক্ত ওষুধে ৪৮.৬ শতাংশ ডাইইথিলিন গ্লাইকল নামে একটি বিষাক্ত শিল্প দ্রাবকের উপস্থিতি রয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওই সিরাপ নির্মাতা স্রেসন ফার্মা তামিলনাড়ুরই। তাদের কারখানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই সিরাপের একটি উপাদানের জন্য কিডনি এবং যকৃতের সমস্যা হতে পারে বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছে।
রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশেকিডনি বিকল হয়ে শিশুদেরমৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল বা এনসিডিসি)। কী কী ত্রুটির ফলে এই ব্যাচের সিরাপ ৬টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে, তা-ওদেখা হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)