‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ফাইল চিত্র ।
বিবিসি-র ‘নিষিদ্ধ’ তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দি মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই তা প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিল কেরল প্রদেশ কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার তিরুঅনন্তপুরমের শাঙ্গুমুঘাম সমুদ্র সৈকতে এই বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে বলে কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে। এই তথ্যচিত্র নিয়ে কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরেও ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছে। সেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল কে অ্যান্টনি এই তথ্যচিত্রকে ভারতের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করে সমস্ত দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। যদিও অনিলের এই পর্যবেক্ষণকে ‘অপরিণত’ বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। তথ্যচিত্রটি নিয়ে দলের অন্দরে মতভেদ হওয়ার মধ্যেই তা প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিল কেরল প্রদেশ কংগ্রেস।
এর আগে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে দিল্লির জেএনএউ এবং জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার দু’পর্বের ওই তথ্যচিত্রে। ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি। গত রবিবার কেন্দ্রের তরফে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসি-র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নিতে নির্দেশও জারি করা হয়। পাশাপাশি, আইটি রুলস ২০২১-এর জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়।
যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদী সরকারের ওই পদক্ষেপকে বিরোধী দলের নেতারা ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy