Advertisement
E-Paper

‘গুলি করে মারুন’ ফোনে নির্দেশ দিয়ে বিতর্কে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী

বিষয়টা পরে অবশ্য ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়েছে। সূত্রের খবর, ফোনের ও পারে ছিলেন পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। তাঁকেই নাকি এই নির্দেশ দিচ্ছিলেন কুমারস্বামী। দলীয় এক নেতা খুন হয়েছিলেন। তাঁকে যারা খুন করেছিল, তাদেরই গুলি করে মারার নির্দেশ দিচ্ছিলেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:২৭
ফোনে নির্দেশ দেওয়ার সময় ক্যামেরায় ধরা পড়লেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী।

ফোনে নির্দেশ দেওয়ার সময় ক্যামেরায় ধরা পড়লেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী।

উত্তেজিত ভাবে তাঁকে ফোনে কথা বলতে শোনা যাচ্ছিল। ফোনে তিনি কাউকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন, ‘আমি জানি না ওরা কারা, কোন দয়া নয়,গুলি করে মারুন’। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর এই ফোনবার্তা নিয়েই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে কাকে তিনি নির্দেশ দিচ্ছিলেন, কেনই বা গুলি করার নির্দেশ?

বিষয়টা পরে অবশ্য ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়েছে। সূত্রের খবর, ফোনের ও পারে ছিলেন পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। তাঁকেই নাকি এই নির্দেশ দিচ্ছিলেন কুমারস্বামী। দলীয় এক নেতা খুন হয়েছিলেন। তাঁকে যারা খুন করেছিল, তাদেরই গুলি করে মারার নির্দেশ দিচ্ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, জেডিএস নেতা এইচ প্রকাশকে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ দক্ষিণ কর্নাটকের মাণ্ড্যর কাছে গাড়ি থেকে নামিয়ে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তার পর দেহ ফেলে রেখেই চম্পট দেয় তারা।

ওই দিনই রাজ্যের বিজয়পুর জেলায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কুমারস্বামী। সেখানে পা রাখা মাত্রই গোয়েন্দা সূত্রে তাঁকে দলীয় নেতার খুনের বিষয়টি জানানো হয়। তখনই তাঁকে উত্তেজিত ভাবে ফোনে নির্দেশ দিতে শোনা যায়, “উনি (এইচ প্রকাশ) ভাল লোক ছিলেন। এ ভাবে কারা তাঁকে খুন করল। যারা খুন করেছে, গুলি করে মারুন ওদের। কোনও সমস্যা হবে না।” কুমারস্বামী যখন এই নির্দশে দিচ্ছিলেন সেখানে স্থানীয় সাংবাদিকরাও হাজির ছিলেন। ফলে সেই ভিডিয়োটি সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।

যদিও কুমারস্বামী পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।এক জন মুখ্যামন্ত্রী হিসেবে নয়, সাধারণ মানুষ হিসেবেই এ কথা বলেছেন বলে দাবি তাঁর।বলেন, “এটা আমার নির্দেশ ছিল না। সে সময় একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। দুষ্কৃতীরা দুটো খুনের সঙ্গে জড়িত। জেল খাটছে। জামিনে দু’দিন আগেই ছাড়া পেয়েছে। তার পর আবার খুন করেছে। এ ভাবেই ওরা জামিনের অপব্যবহার করছে।”

আরও পড়ুন: যাত্রীদের সাহায্যে বাসই ‘লেবার রুম’, বড়দিনের আগে নজির হয়ে রইল এই ঘটনা...

মুখ্যমন্ত্রীর এই ফোনবার্তা নিয়ে যখন তুমুল হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে, তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীরদফতর। এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “প্রকাশ এক জন একনিষ্ঠ দলীয় সমর্থক ছিলেন। জেলা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে।”

আরও পড়ুন: সোনার লোভে ব্রাজিলের এই দ্বীপে গিয়ে আজ পর্যন্ত নাকি কেউ ফেরেনি

কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। এক জন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কী ভাবে এমন মন্তব্য করতে পারলেন, প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। কুমরাস্বামীর এই মন্তব্যের নিন্দা করে বিজেপি নেত্রী শোভা করন্ডলাজে টুইট করেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আইন ভাঙার নির্দেশ দিচ্ছেন। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তিনি এ কাজে উস্কানি দিচ্ছেন।”

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)

HD Kumaraswamy Karnataka CM কুমারস্বামী কর্নাটক
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy