বৃষ্টি-বিধ্বস্ত গোটা জেলা। জঙ্গলেও স্বস্তি নেই। আশ্রয় খুঁজতে খুঁজতে শেষমেশ লোকালয়ে পৌঁছে গিয়েছিল সে। ঢুকে পড়েছিল একটা শিবমন্দিরে। কিন্তু সে যে মন্দিরে বসে রয়েছে, সে খবর তো আর জানতেন না গ্রামের দুই মহিলা।
মন্দিরে পুজো দিতে এসে তখন তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ! মূর্তি নয়, চোখের সামনে তখন মূর্তিমান এক সিংহী। গত কাল আমরেলি জেলার ইংগ্রোলা গ্রামে এমনটাই ঘটেছে। আমরেলি ডিভিশনের বন উপ-সংরক্ষক এম আর গুর্জর জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টিতে খাবার না পেয়ে জঙ্গল থেকে সম্ভবত সিংহীটি ঢুকে বসেছিল মন্দিরে। হঠাৎ ওই মহিলাদের দেখেই সে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের উপরে। প্রাণে না মারলেও তাঁদের গুরুতর জখম করেছে সে। মহিলারা আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সিংহীকে দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টার চেষ্টায় কাবু করে শেষ পর্যন্ত নিজের ডেরায় ফিরিয়ে দিয়েছেন বন অফিসাররা। এম আর গুর্জর জানাচ্ছেন, আমরেলি জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টির ফলে ওই মন্দিরগামী রাস্তাটি পুরোপুরি জলের তলায়। টানা বৃষ্টিতে এই গ্রামের কাছে শতরুঞ্জি নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ওই নদীর তীর বরাবর ঘুরে বেড়ায় অন্তত ৫০টি সিংহের দল। বর্ষার মরসুমে এই সব অঞ্চলের অবস্থা এতটাই ভয়াবহ হয় যে এরাও বাধ্য হয়ে লোকালয়ের দিকে চলে আসে। এই সিংহীটির ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে।
তাকে জঙ্গলে পাঠানো গেলেও খুব সহজ রাস্তায় সেটা হয়নি। বৃষ্টির মধ্যে লোকজন জড়ো করে সিংহীকে বাগে আনা যথেষ্ট মুশকিল ছিল বলে দাবি বন অফিসারদের। তবে আজ ভোররাতে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে সিংহীকে আচ্ছন্ন করে ফেলা হয়। তার পরে তাকে খাঁচায় তুলে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে আসা হয় জঙ্গলে।
এই সিংহীকে বাঁচানো গেলেও সৌরাষ্ট্র এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির জেরে আমরেলি ও ভাবনাগড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনটি সিংহের। একটি আবার তিন মাসের শাবক। আমরেলিতে অভিযোগ, এখানকার ভাবাড়ি গ্রামের ক্ষেতে কাদাজলের মধ্যে পড়ে ছিল সিংহীর দেহ। বয়স ছ’য় থেকে আটের মধ্যে। বন দফতর বলছে, সম্ভবত হড়পা বানে সিংহী ভেসে গিয়ে কাদাজলে আটকে আর উঠতে পারেনি। তার দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ভাবনাগড়ে মিলেছে শাবক-সহ অন্য সিংহের দেহ।
চিতাবাঘ তাড়াল কুকুর
চিতাবাঘকে তাড়া বাড়ির পোষ্য! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে মুম্বইয়ের বোরিভেলি এলাকায়। একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য।
বোরিভেলি এলাকার একটি বাড়িতে বৃষ্টির মধ্যে ঢুকে পড়ে একটি চিতাবাঘ। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির গেট বন্ধ। হঠাৎই ঢুকে পড়ল চিতাবাঘটি। গেটের সামনে ঘোরাঘুরি করল খানিক। তার পরে এ দিক ও দিক ঢুঁ মেরে দেখা গেল, সে চেষ্টা করছে বাড়ির ভিতরে ঢোকার। কিন্তু গেট বন্ধ থাকায় তখনও কিছু করে উঠতে পারেনি সে। গেটের ও পারে তখন ঘুমোচ্ছিল বাড়ির কুকুরটি। উসখুশ চিতাবাঘের উপস্থিতি টের পেয়েই সজাগ হয়ে পড়ে সে। উঠে দাঁড়িয়ে বাড়ির ভিতর থেকেই প্রাণপণে চেঁচাতে থাকে। তারস্বরে ওই ডাক শুনে এক রকম লেজ গুটিয়ে চলে যায় চিতাবাঘটি। তবে সে কোথা থেকে এল, আর কোথায়ই বা চলে গেল, সেটা স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy