ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার প্রকল্পের সুদে সম্পূর্ণ ছাড় নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট। প্রতীকী চিত্র
২০২০ সালে কোভিড পর্বে ছয় মাসের সময়সীমার মধ্যে ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার প্রকল্পে ( মোরেটরিয়াম) সুদে ছাড় মিলবে কি না, তা নিয়ে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দিল, সুদে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।
সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, সুদে সম্পূর্ণ ছাড় দিলে সমস্যায় পড়বে ব্যাঙ্কগুলি। কারণ তাদেরও অংশীদার, বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য গ্রাহকদের সুদ দিতে হয়। তাই ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখার প্রকল্পের সুদে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।
কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ঋণের কিস্তি স্থগিত নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না সুপ্রিম কোর্ট, এমনটাই জানিয়েছেন বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই সঙ্গে ঋণে সুদ ছাড়ের সময় সীমা বাড়ানোর আবেদনও নাকচ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
সোমবার নিজেদের রায়ে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘জাতীয় অর্থনীতির জন্য কোনটা ভাল ও আর্থিক অনুদান প্রকল্প ঠিক কেমন হবে সেটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যতক্ষণ না এই ধরনের কোনও আর্থিক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে ততক্ষণ দেশের আইন ব্যবস্থা তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’’যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই প্রকল্পে সময় সীমার মধ্যে যৌগিক হারে সুদ নিতে পারবে না ব্যাঙ্কগুলি।
কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষ ও সংস্থাগুলিকে সুবিধা দিতে ব্যাঙ্ক ঋণের কিস্তি (ইএমআই) পরিশোধ ছয় মাস পিছিয়ে দেওয়ার মোরেটরিয়াম ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু ওই মোরেটরিয়াম পর্বে সুদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে কি না, তাই নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সেই সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, যে সমস্ত ঋণগ্রহীতা ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার সুবিধা নেবেন তাঁদের ওই কিস্তির সুদ পরে দিতে হবে।
এই ঘোষণার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার রায়েই এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy