বিজেপি সভাপতি হওয়ার আগে গুজরাতে সোহরাবুদ্দিন শেখের ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় অমিতের নাম জড়ায়। ছবি: পিটিআই।
প্রতি বারই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয় আমদাবাদের নারণপুরার সুন্দরনগরের সাংভি হাই স্কুলে। সেই বুথেই পোলিং এজেন্ট হিসেবে নির্বাচনের কাজে হাত পাকানো শুরু করেছিলেন অমিত শাহ। ক্রমশ নারণপুরা ওয়ার্ডের দলীয় সচিব এবং নারণপুরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই বিধায়ক হওয়া। সেই সময়েই ভোটার তালিকা ধরে ধরে, এক-একটি পৃষ্ঠার দায়িত্ব এক-এক জন ‘পৃষ্ঠা প্রমুখ’-কে দেওয়া শুরু করেন অমিত।
সেখান থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ পর্যন্ত তাঁর যাত্রাপথের খুঁটিনাটি খুব কম মানুষেরই জানা। তা তুলে ধরতেই এ বার অমিত শাহের জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ হতে চলেছে। সব ঠিক থাকলে ভোটপর্বের মধ্যেই এই বই বেরোবে। বিজেপির তৈরি একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের শীর্ষ কর্তা এই বই লিখছেন। কিন্তু গোটা বইয়ের সম্পাদনা থেকে প্রচ্ছদের উপরে নিজে নজর রাখছেন বিজেপি সভাপতি।
দলের নেতারা বলছেন, এ হল অমিতের নিজস্ব ‘ব্র্যান্ডিং’। নরেন্দ্র মোদীর জীবনকাহিনী তুলে ধরে একাধিক বই লেখা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তাঁর ‘বায়োপিক’ মুক্তি পেতে চলেছে। কিন্তু অমিত শাহকে নিয়ে বই তেমন নেই। অথচ অমিতের পদক্ষেপ থেকে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে, তিনি দলের সংগঠন সামলানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারেও ‘নম্বর-টু’ হয়ে উঠতে চান। রাজ্যসভায় আগেই পা রেখেছিলেন। এ বার লোকসভায় জিতে আসতে নিজেই গাঁধীনগর আসন বেছেছেন। বিজেপি নেতারা একান্তে বলছেন, আরও পাঁচ বছর পরে অমিত শাহই হয়তো হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী পদে দলের প্রার্থী। কাজেই তাঁর নিজস্ব ‘ব্র্যান্ডিং’ জরুরি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপি সভাপতি হওয়ার আগে গুজরাতে সোহরাবুদ্দিন শেখের ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় অমিতের নাম জড়ায়। আদালত অবশ্য রেহাই দেয় তাঁকে। এ বার ভাবমূর্তি সংস্কারের সঙ্গে ব্যক্তি অমিত শাহ কেমন মানুষ, বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর ভাবনা কী— সে সব তুলে ধরা দরকার বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতারা মনে করছেন। আমদাবাদের বিজেপি নেতাদের যুক্তি, শুধু দলের নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া নয়, তাঁদের সুখ-দুঃখেও পাশে থাকেন অমিত। কার পরিবারে কী সমস্যা, সব তাঁর নখদর্পণে। এক সময়ে শেয়ার বাজারে লেনদেন করতেন। ধনী পরিবারের সন্তান হলেও তিনি সাধারণ ভাবেই থাকেন। এই দিকটিও মানুষের সামনে তুলে ধরা উচিত। এখন অমিত শাহের নিজস্ব ওয়েবসাইটে তাঁর জীবনী মেলে। তা নিয়মিত পরিমার্জনও করা হয়। কিন্তু আমজনতার কাছে পৌঁছতে বইকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন বিজেপি সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy