Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ত্রিপুরায় ‘ভোট-সন্ত্রাস’ 

গত কাল সিপাহিজলা জেলার ইন্দিরা নগরে এক সভায় বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে প্রায় দু’শো পরিবার কংগ্রেসে যোগ দেয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আগরতলা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০৪:৫৫
Share: Save:

ত্রিপুরায় ভোটের মুখে আক্রান্ত হচ্ছেন কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা, এমনকি প্রার্থীরাও। দু’তরফেই আজ এর তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের উস্কানিতেই বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ধরনের হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস ও সিপিএএম রাজ্য নেতৃত্বের। পুলিশ বা নির্বাচন কমিশকে সব জানিয়েও সুরাহা মিলছে না বলে ক্ষোভ জানিয়েছে দু’টি দলই।

গত কাল সিপাহিজলা জেলার ইন্দিরা নগরে এক সভায় বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে প্রায় দু’শো পরিবার কংগ্রেসে যোগ দেয়। পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সুবল ভৌমিক সেই সভা সেরে ফিরছিলেন। তাঁর অভিযোগ, পথে জনা ৫০ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী দু’বার তাঁর উপরে হামলা করে। পাথর ছোড়ে। কংগ্রেস সহসভাপতি তাপস দে এ নিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপির গুন্ডারা রাজ্যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’’ বিজেপির মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্যের অবশ্য দাবি, ‘‘বিজেপি কর্মীরা ওই হামলায় জড়িত নয়।’’ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ খণ্ডন করে মেলাঘর থানার ওসি পলুরাম দাস বলেছেন, ‘‘আমরা তৈরি ছিলাম। পাথর ছোড়া শুরু হতেই দুষ্কৃতীদের আমরা ছত্রভঙ্গ করে দিই।’’

গত কালই সিপাহিজলা জেলার মোহনভোগে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা করার কথা ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের। সেখানে বিজেপির সমর্থকেরা কালো পতাকা দেখায় ও ‘ফিরে যাও’ স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ ও আধাসেনার রক্ষী থাকা সত্ত্বেও, বিক্ষোভের জেরে সভা না-করেই ফিরে আসতে হয় মানিকবাবুকে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী শঙ্করপ্রসাদ দত্তের অভিযোগ গত চার দিনে মোট সাত বার আক্রমণ হয়েছে তাঁর উপরে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE