Advertisement
E-Paper

কেন ছাড় সলমনকে, শীর্ষ আদালতে মহারাষ্ট্র সরকার

তেরো বছরের পুরনো মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন মাত্র তেরো দিন আগে। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকারের একটা সিদ্ধান্তে ফের বিপাকে পড়তে পারেন সলমন খান। গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা মামলা নিয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:১২

তেরো বছরের পুরনো মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন মাত্র তেরো দিন আগে। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকারের একটা সিদ্ধান্তে ফের বিপাকে পড়তে পারেন সলমন খান। গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা মামলা নিয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সরকারের তরফে আবেদনকারী অভিনন্দন ভাগ্যানি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে একটি স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করতে চলেছেন তাঁরা।

২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের রাতে সলমনের গাড়ি উঠে গিয়েছিল বান্দ্রার ফুটপাথে। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। আহত হন আরও কয়েক জন ফুটপাথবাসী। অভিযোগ ছিল, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন সলমন। দীর্ঘ তেরো বছর ধরে চলা সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে এ বছর। গত মে মাসে নিম্ন আদালত রায় দিয়ে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সলমনকে। সেই সঙ্গে পাঁচ বছরের জেলও হয় তাঁর। কিন্তু সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সলমন। আর তার পরই আসে স্বস্তি। গত ১০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার রায়ে এই মামলা থেকে মুক্তি দেয় বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেতাকে। বিচারপতি এ আর জোশী তাঁর রায়ে বলেছিলেন, সলমন যে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তা প্রমাণে ব্যর্থ সরকারি আইনজীবী।

ওই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন নিখিল ওয়াগলে নামে এক সাংবাদিক। সেই মামলার শুনানি চলার সময় বিচারপতি অভয় ওকা এবং গৌতম পটেলের বেঞ্চকে ভাগ্যানি জানিয়েছেন, রাজ্যের আইন এবং বিচারবিভাগীয় দফতর ওই এসএলপি-তে সায় দিয়েছে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই তা সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়বে।

জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্ট জানিয়েছে, সলমন মৃত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সঙ্গেই এই মামলা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রসঙ্গ তুলেছেন বিচারপতিরা। সরকারি আবেদনকারীর কাছে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণত কত ক্ষণের মধ্যে অভিযুক্তের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়। কোন ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে সেই পরীক্ষা হয়, তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত।

তবে রক্ত পরীক্ষা বা তার পদ্ধতিই নয়, এই ধরনের মামলায় দোষীদের সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষেও সওয়াল করেছেন বিচারপতিরা। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকার বম্বে হাইকোর্টকে জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ এ (অবহেলায় কারও মৃত্যু ঘটানো) এবং ২৭৯ ( জোরে এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো গাড়ি চালানো) ধারা সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।

acquittal Maharashtra Supreme Court Salman hit and run case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy