—ফাইল চিত্র।
রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি মেনে নিতে না পেরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে মনোহর পর্রীকর গোয়ায় ফিরে গিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন শরদ পওয়ার। আজ মহারাষ্ট্রে এনসিপি-সুপ্রিমো বলেন, ‘‘রাফাল চুক্তি মনোহর পর্রীকরের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। তাই তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।’’
দীর্ঘ রোগভোগের পরে গত ১৭ মার্চেই মারা গিয়েছেন পর্রীকর। তাঁর আমলেই রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়। কিন্তু সেই বিমান কেনার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দর কষাকষির সময় প্রধানমন্ত্রীর দফতর নাক গলিয়েছিল বলে ফাঁস হওয়া সরকারি নোট থেকে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকই আপত্তি তোলে। সেই আপত্তি পর্রীকরের টেবিল পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে পর্রীকর আপত্তি খারিজ করে দেন বলেই সূত্রের খবর।
আজ ফরাসি সংবাদপত্র ল্য মোঁদ-এর খবরে নতুন করে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কয়েক মাস পরেই ফ্রান্স সরকার অনিল অম্বানীর সংস্থাকে প্রায় ১৪৩.৭ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১১০০ কোটি টাকা) কর মকুব করে দিয়েছিল। অথচ তারাই কয়েক মাস আগে দু’দফায় তদন্ত চালিয়ে অনিলের সংস্থার থেকে ১৫১ মিলিয়ন ইউরো বকেয়া কর দাবি করেছিল। ওই রিপোর্ট হাতে নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, এই কারণেই মোদী সরকার অনেক বেশি দামে রাফাল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে রাফাল-নির্মাতা সংস্থা দাসো ভারতীয় সংস্থাকে বরাত দেওয়ার চুক্তি মেনে অনিলের সংস্থাকেই বরাত দেয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন জানিয়েছে, কর মকুব থেকে তাঁরা কোনও বাড়তি সুবিধা পাননি। কিন্তু কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘ফরাসি সংস্থা রিলায়্যান্স টেলিকম ফ্ল্যাগ ফ্রান্স সে দেশে কর ছাড় পেয়ে গেল। সেটি যে সংস্থার অধীনস্থ, সেই রিলায়্যান্স গ্লোবাল কম আবার কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্য বারমুডায় অবস্থিত! রাফাল চুক্তি হওয়ার পরেই মোদী সরকার সার্বভৌম গ্যারান্টি, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই অগ্রিম টাকা মেটাতে শুরু করল! তার পরে দাসো-ও রিলায়্যান্স এয়ারপোর্ট ডেভেলপিং কোম্পানিতে বিপুল লগ্নি করতে শুরু করল! দাসো এমন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করল, যাদের কোনও বিমান তৈরির অভিজ্ঞতাই নেই! কী করে হয় এ সব?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy