ফাইল চিত্র।
কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের বর্ধিত দাম নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল সংসদীয় কমিটি। এ বার চিকিৎসকদের একাংশের ভূমিকার সমালোচনা করল কেন্দ্রের ওষুধ বিষয়ক দফতর। কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রকের অধীন এই দফতরের কর্তাদের মতে, দরকার না-থাকলেও কোভিডের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি ব্যবহারের সুপারিশ করছেন অনেক চিকিৎসক। ফলে দেশে ওষুধগুলির কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভিয়ার-এর একটি ভায়াল মুম্বইয়ে ১০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন প্রয়োজন থাকলে তবেই কোভিডের ওষুধ সুপারিশ করেন।
এখন দেশে করোনার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রেমডেসিভিয়ার ও টসিলিজ়ুম্যাব। সম্প্রতি ওষুধ বিষয়ক দফতর দেখে, দেশে এই দু’টি ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত থাকা সত্ত্বেও কিছু রাজ্যে সেগুলির অস্বাভাবিক চাহিদা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায়, অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দেওয়ার পরিস্থিতি হলেই কিছু চিকিৎসক কোনও ঝুঁকি না-নিয়ে মুড়ি-মুড়কির মতো রেমডেসিভিয়ার ও টসিলিজ়ুম্যাবের নাম লিখছেন। এর ফায়দা নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এ দেশে এখন তিনটি সংস্থা রেমডেসিভিয়ার তৈরি করে। দেখা যাচ্ছে, দামের ঊর্ধ্বসীমা না-থাকায় তিনটি আলাদা সংস্থা এই ওষুধের একশো গ্রামের ভায়াল যথাক্রমে ৪০০০ টাকা, ৫৪০০ টাকা এবং ৪৮০০ টাকায় বিক্রি করছে। অর্থাৎ একই ওষুধের দামে ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকার হেরফের। মুম্বইয়ে এমন একটি ভায়াল অন্তত ৪০,০০০ টাকায় কিনতে হয়েছে রোগীর পরিবারকে।
ওষুধের বেশি দাম নিয়ে গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সরব হন বিভিন্ন দলের সাংসদেরা। নামী সংস্থার ওষুধের বদলে আমজনতার কথা ভেবে কেন জেনেরিক ওষুধ ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন ওঠে। যার উত্তর নেই সরকারের কাছে। তবে কোভিডের চিকিৎসার জীবনদায়ী ওষুধগুলির কৃত্রিম চাহিদা বাড়ায় ওষুধ দফতরের তরফেই সেগুলির দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে সরকারের কাছে। যদিও এর ফলে ওষুধ সংস্থাগুলি উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে কর্তাদের একাংশের।
মৃদু ও মাঝারি উপসর্গের কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে জাপানে প্রস্তুত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ফ্যাভিপিরাভির গোড়া থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছিল। আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, কম দামে ওই ওষুধ বানানোর প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সিপলা-কে সেই প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা কোভিড রোগীদের জন্য সুলভ মূল্যের ওই ওষুধ বাজারে আনছে। তবে শুধুমাত্র আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ওই ওষুধের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy