Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মিথ্যা কথা ছড়ানো হয়েছে: শ্বেতা

যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ আগেও অস্বীকার করেছিলেন তিনি। জোর দিয়ে বলেছিলেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। হায়দরাবাদের আদালত ক্লিন চিট দেওয়ার পর আজ সংবাদমাধ্যমকে খোলা চিঠি লিখলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, ধরা পড়ার পরে তাঁর যে ‘স্বীকারোক্তি’র কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, তা ভুয়ো।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৪৯
Share: Save:

যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ আগেও অস্বীকার করেছিলেন তিনি। জোর দিয়ে বলেছিলেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। হায়দরাবাদের আদালত ক্লিন চিট দেওয়ার পর আজ সংবাদমাধ্যমকে খোলা চিঠি লিখলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, ধরা পড়ার পরে তাঁর যে ‘স্বীকারোক্তি’র কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, তা ভুয়ো।

সেপ্টেম্বরের গোড়ায় হায়দরাবাদের একটি হোটেল থেকে শ্বেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সে সময় সংবাদমাধ্যমে হায়দরাবাদ পুলিশের তরফেই শ্বেতার একটি বিবৃতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। সেই বিবৃতি বলছিল, অভাবে পড়েই যৌনপেশায় জড়িয়ে যেতে হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন শ্বেতা নিজেই।

কিন্তু আদালতের রায়ে মুক্তি পাওয়ার পরে এ দিন তাঁর চিঠিতে শ্বেতা দাবি করেছেন, এমন কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। বরং তাঁর প্রশ্ন, “এ সব কার কল্পনা? মনে হচ্ছে আশির দশকের কোনও ফিল্মের সংলাপ!” সংসারে অভাবের কথা উড়িয়ে দিয়ে হাতে কাজ না থাকার খবরটিও পুরোপুরি মিথ্যে বলে দাবি করেছেন শ্বেতা। জানিয়েছেন, পড়াশোনার জন্য ‘ইকবাল’-এর পর বাবা-মা আর ছবি করতে দেননি। পরে কিছু দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করেন। গত সাড়ে তিন বছর একটা তথ্যচিত্র বানাতে ব্যস্ত ছিলেন। এ বছরই এক বন্ধুর সঙ্গে একটা স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফিল্মও বানিয়েছেন। নাসিরুদ্দিন শাহের সঙ্গে তাতে অভিনয়ও করেছেন। “তা হলে কোথায় সব পথ বন্ধ?” প্রশ্ন শ্বেতার।

তা হলে কোথা থেকে এল ওই বিবৃতি? শ্বেতার দাবি, তিনি হায়দরাবাদ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে জানিয়েছে, শ্বেতার ওই মন্তব্য-সহ কোনও প্রেস বিজ্ঞপ্তি তারা প্রকাশ করেনি। সংবাদমাধ্যম ওই খবর কোথা থেকে পেল, তা পুলিশ জানে না। তা হলে? শ্বেতার অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমের একাংশই এই ভুয়ো বিবৃতি ছড়ানোর জন্য দায়ী। শ্বেতা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন একটি পুরস্কার নিতে তিনি হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের পর একটি হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন উদ্যোক্তারা। সেই সংক্রান্ত তথ্য এখনও তাঁর ইমেল ইনবক্সে রয়েছে।

তাঁর বক্তব্য, আটক করার পর তাঁকে হোমে পাঠানো হয়েছিল। ৫৯ দিন ছিলেন সেখানে। বাইরে কী ঘটেছে, কিছুই জানতেন না। বাড়ি ফিরে দেখেন কী কী লেখা হয়েছে সংবাদপত্রে। বছর তেইশের এই অভিনেত্রীর দাবি, “এ ধরনের খবর হলে পাড়াপড়শি-বন্ধুবান্ধব প্রথমে সহানুভূতি দেখাতে শুরু করে। পরে যখন দেখা যায় ভুল খবর, তখন তারা ভাবে মিথ্যে কথা।” সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এই অভিনেত্রী বলেছেন, “আপনারা আমার জীবনে যথেষ্ট বিপদ ডেকে এনেছিলেন! ওয়েল ডান!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE