ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়
জেলে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমন অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালের সেই রিপোর্ট বলছে, ইন্দ্রাণীর দেহে শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে।
গত শুক্রবার, ২৩ জুন মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলের এক আধিকারিকের মারধরের জেরে মৃত্যু হয় মঞ্জুলা শেট্টে নামের এক মহিলা বন্দির। এই ঘটনার পরেই প্রতিবাদ করেন শিনা বোরা হত্যা-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ওই জেলেই নিহত মঞ্জুলার সঙ্গে বন্দি ছিলেন ইন্দ্রাণী। এফআইআর-এ ইন্দ্রাণী দাবি করেন, মঞ্জুলার গোপনাঙ্গে লাঠি বা কাঠের স্টিক জাতীয় কিছু ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন জেল আধিকারিকেরা। ইন্দ্রাণী ও জেলের অন্য কয়েদিরা ঘরের দরজার ছিদ্র দিয়ে পুরো ঘটনাটি দেখেছেন। এই নির্যাতনের ফলেই মৃত্যু হয়েছে মঞ্জুলার। শুধু তাই নয়, এর পর আদালতে ইন্দ্রাণীর আইনজীবী গুঞ্জন মাঙ্গলা জানান, তাঁর মক্কেল, অর্থাৎ ইন্দ্রাণীর উপরেও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন জেল আধিকারিকেরা। ইন্দ্রাণীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকী, মুখ খুললে ইন্দ্রাণীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবারই আদালত ইন্দ্রাণীর ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।
আরও খবর
প্রকাশ্য প্রস্রাব করে বির্তকে মোদীর মন্ত্রী রাধামোহন
মঞ্জুলার মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার বাইকুল্লা জেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ইন্দ্রাণী-সহ জেলের বাকি বন্দিরা। সে দিন প্রায় ২০০ জন বন্দি মিলে জেলের ছাদে উঠে, কাগজ পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। এর পরেই ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়-সহ জেলের অন্য বন্দিদের বিরুদ্ধে হাঙ্গামা, অবৈধ জমায়েত, সরকারি কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ। মঞ্জুলা শেট্টের মৃত্যুতে ছয় জেল আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এক মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy