Advertisement
১০ মে ২০২৪
Missile Woman

Tessy Thomas: দৈনিক ১০০ টাকা ঋণ নিয়ে পড়াশোনা করেন, টেসি টমাস ভারতের ‘মিসাইল ওম্যান’

তিনি নিজেও মায়ের মতোই জেদি। সমস্ত বাধা পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ০৯:৩৩
Share: Save:
০১ ১৮
খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছিলেন। তাঁদের জন্য সংসার সামলাতে নিজের কেরিয়ারের কথা ভাবেননি মা। দাঁতে দাঁত চেপে ছ’ভাই-বোনের সংসার একাই আগলে রেখেছিলেন তিনি।

খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছিলেন। তাঁদের জন্য সংসার সামলাতে নিজের কেরিয়ারের কথা ভাবেননি মা। দাঁতে দাঁত চেপে ছ’ভাই-বোনের সংসার একাই আগলে রেখেছিলেন তিনি।

০২ ১৮
এমনই দৃঢ়চেতা ছিলেন তাঁর মা। এই মাকে দেখেই বড় হয়েছেন তিনি। তিনি নিজেও মায়ের মতোই জেদি। সমস্ত বাধা পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এমনই দৃঢ়চেতা ছিলেন তাঁর মা। এই মাকে দেখেই বড় হয়েছেন তিনি। তিনি নিজেও মায়ের মতোই জেদি। সমস্ত বাধা পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

০৩ ১৮
এই জেদের জন্য আজ সারা বিশ্বের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘অগ্নি-কন্যা’, ভারতের ‘মিসাইল ওম্যান’।

এই জেদের জন্য আজ সারা বিশ্বের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘অগ্নি-কন্যা’, ভারতের ‘মিসাইল ওম্যান’।

০৪ ১৮
তাঁর আসল নাম টেসি টমাস। ১৯৬৩ সালে কেরলের আলাপ্পুঝায় এক সিরিয়ান খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম।

তাঁর আসল নাম টেসি টমাস। ১৯৬৩ সালে কেরলের আলাপ্পুঝায় এক সিরিয়ান খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম।

০৫ ১৮
তাঁর পরিবার মাদার টেরেসার অনুগামী ছিল। মাদার টেরেসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই মেয়ের নাম রেখেছিলেন টেসি।

তাঁর পরিবার মাদার টেরেসার অনুগামী ছিল। মাদার টেরেসা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই মেয়ের নাম রেখেছিলেন টেসি।

০৬ ১৮
টেসির যখন ১৩ বছর বয়স তাঁর বাবার স্ট্রোক হয়ে শরীরের ডান দিক অসাড় হয়ে গিয়েছিল।

টেসির যখন ১৩ বছর বয়স তাঁর বাবার স্ট্রোক হয়ে শরীরের ডান দিক অসাড় হয়ে গিয়েছিল।

০৭ ১৮
টেসির মা ছিলেন শিক্ষিকা। বাবা শয্যাশায়ী হওয়ার পর মায়ের উপর সন্তানদের দেখভালের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে। তার উপর অসুস্থ স্বামীর দেখাশোনা তো ছিলই।

টেসির মা ছিলেন শিক্ষিকা। বাবা শয্যাশায়ী হওয়ার পর মায়ের উপর সন্তানদের দেখভালের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে। তার উপর অসুস্থ স্বামীর দেখাশোনা তো ছিলই।

০৮ ১৮
সেই থেকেই নিজের কেরিয়ার বিসর্জন দিয়েছেন তিনি। শত কষ্ট সত্ত্বেও জেদের সঙ্গে সারা জীবন সন্তানদের আগলে রেখেছিলেন।

সেই থেকেই নিজের কেরিয়ার বিসর্জন দিয়েছেন তিনি। শত কষ্ট সত্ত্বেও জেদের সঙ্গে সারা জীবন সন্তানদের আগলে রেখেছিলেন।

০৯ ১৮
কেরলের থুম্বা রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাছেই ছিল টেসিদের বাড়ি। ছোট থেকেই তাই তাঁর মনে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আলাদা কৌতূহল জন্মেছিল। স্বপ্ন পূরণ করতে অনুঘটকের কাজ করেছিল অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যায় তাঁর দুরন্ত এবং নির্ভুল চলন।

কেরলের থুম্বা রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাছেই ছিল টেসিদের বাড়ি। ছোট থেকেই তাই তাঁর মনে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আলাদা কৌতূহল জন্মেছিল। স্বপ্ন পূরণ করতে অনুঘটকের কাজ করেছিল অঙ্ক এবং পদার্থবিদ্যায় তাঁর দুরন্ত এবং নির্ভুল চলন।

১০ ১৮
অঙ্কের কঠিন সমস্যা তাঁর কাছে ছিল জলভাত। জটিল পদার্থবিদ্যাও নিমেষে বুঝে ফেলতেন। স্কুলের পরীক্ষায় প্রতি বারই বিজ্ঞানে ১০০ শতাংশ নম্বর পেতেন তিনি।

অঙ্কের কঠিন সমস্যা তাঁর কাছে ছিল জলভাত। জটিল পদার্থবিদ্যাও নিমেষে বুঝে ফেলতেন। স্কুলের পরীক্ষায় প্রতি বারই বিজ্ঞানে ১০০ শতাংশ নম্বর পেতেন তিনি।

১১ ১৮
স্কুল পাশের পর তিনি ব্যাঙ্ক থেকে প্রতি দিন ১০০ টাকা ঋণ নিয়ে একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। সেখানে বিটেক পাশ করেন।

স্কুল পাশের পর তিনি ব্যাঙ্ক থেকে প্রতি দিন ১০০ টাকা ঋণ নিয়ে একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। সেখানে বিটেক পাশ করেন।

১২ ১৮
বিটেক পাশের পর তিনি পুণের ইনস্টিটিউট অব আর্মামেন্ট টেকনোলজি থেকে গাইডেড মিসাইল নিয়ে এমটেক পাশ করেন। তার পর ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) থেকে গাইডেড মিসাইল নিয়ে পিএইচডি-ও করেন।

বিটেক পাশের পর তিনি পুণের ইনস্টিটিউট অব আর্মামেন্ট টেকনোলজি থেকে গাইডেড মিসাইল নিয়ে এমটেক পাশ করেন। তার পর ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) থেকে গাইডেড মিসাইল নিয়ে পিএইচডি-ও করেন।

১৩ ১৮
১৯৯৮ সালে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-এ কাজে যোগ দেন তিনি। অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিই ছিল তাঁর মূল দায়িত্ব।

১৯৯৮ সালে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-এ কাজে যোগ দেন তিনি। অগ্নি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিই ছিল তাঁর মূল দায়িত্ব।

১৪ ১৮
এই প্রকল্পের জন্য স্বয়ং এপিজে আব্দুল কালাম তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন।

এই প্রকল্পের জন্য স্বয়ং এপিজে আব্দুল কালাম তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন।

১৫ ১৮
পাশাপাশি তিনি অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি প্রকল্পের সহকারী অধিকর্তা ছিলেন। ২০১১ সালে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হওয়া অগ্নি-৪ এবং ২০০৯ সালে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হওয়া অগ্নি-৫ এর অধিকর্তা ছিলেন তিনি।

পাশাপাশি তিনি অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি প্রকল্পের সহকারী অধিকর্তা ছিলেন। ২০১১ সালে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হওয়া অগ্নি-৪ এবং ২০০৯ সালে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হওয়া অগ্নি-৫ এর অধিকর্তা ছিলেন তিনি।

১৬ ১৮
২০১৮ সালে পদোন্নতি হয় তাঁর। ডিআরডিও-র অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেম-এর ডিরেক্টর জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন।

২০১৮ সালে পদোন্নতি হয় তাঁর। ডিআরডিও-র অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেম-এর ডিরেক্টর জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন।

১৭ ১৮
লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে ডক্টর টমাস কানগান লিডারশিপ পুরস্কারও পেয়েছেন।

লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে ডক্টর টমাস কানগান লিডারশিপ পুরস্কারও পেয়েছেন।

১৮ ১৮
ভারতীয় নৌসেনার কম্যান্ডার সরোজ কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ছেলের নাম রেখেছেন তেজস। তেজস দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান।

ভারতীয় নৌসেনার কম্যান্ডার সরোজ কুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ছেলের নাম রেখেছেন তেজস। তেজস দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE