Advertisement
E-Paper

Mehbooba Mufti: ফের গৃহবন্দি তিনি, দাবি মেহবুবার

জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। তাই এই পদক্ষেপ করেছে তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৫৭
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।

জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। ফাইল চিত্র।

ফের তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে দাবি করলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর দাবি, এতেই বোঝা যাচ্ছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারের দাবি ভিত্তিহীন।

মুফতি আজ জানান, তিনি দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে যেতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। তাই এই পদক্ষেপ করেছে তারা।

টুইটারে মুফতির বক্তব্য, ‘‘আফগানদের অধিকার নিয়ে ভারত সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করছে। কিন্তু কাশ্মীরিদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, এই যুক্তিতে আজ আমাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। এ দিকে ভারত সরকার দাবি করছে উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বোঝাই যাচ্ছে সেই দাবি ভিত্তিহীন।’’ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের সময়ে অন্য নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে গৃহবন্দি ছিলেন মুফতিও। তার পরেও কয়েক বার তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পিডিপি নেত্রী। সম্প্রতি হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুর পরে উপত্যকায় ফের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। তবে তা শিথিল হয়েছে।

সমালোচনার মুখে পড়ে আজ গিলানির অন্ত্যেষ্টির ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে পুলিশ। গিলানির পরিবার দাবি করে, পুলিশ দরজা ভেঙে গিলানির দেহ পরিবারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে কয়েকটি ভিডিয়োও প্রকাশ করে তারা। এর পরে পুলিশের কাজকর্মের সমালোচনা করেন মেহবুবা মুফতি, হুরিয়ত নেতা মিরওয়াইজ় উমর ফারুক-সহ অনেকে। প্রথা মেনে গিলানির অন্ত্যেষ্টি করা হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে। সমালোচনার জবাব দিতে আজ পুলিশের তরফে ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, প্রথা মেনেই সমাহিত করা হচ্ছে গিলানিকে।

পুলিশের তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে, গিলানির মৃত্যুর পরেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার-সহ পুলিশ কর্তারা শ্রীনগরের হায়দরপোরায় তাঁর বাড়িতে যান। সেখানে গিলানির দুই ছেলের সঙ্গেই কথা বলেন তাঁরা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সে দিন রাতেই গিলানির দেহ সমাহিত করার কথা বলেন পুলিশ কর্তারা। দুই ছেলেই রাজি হন। পুলিশের দাবি, এর ঘণ্টা তিনেক পর থেকেই সম্ভবত পাকিস্তানের চাপে সুর বদলান গিলানির দুই ছেলে। দেহ পাকিস্তানি পতাকায় ঢেকে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। প্রতিবেশীদের রাস্তায় নামতেও উস্কানি দেন। এর পরেই পুলিশ গিলানির অন্য আত্মীয়দের সাহায্যে দেহ সমাধিক্ষেত্রে নিয়ে যায়। পুলিশের দাবি, গিলানির অন্ত্যেষ্টিতে দুই ছেলের না থাকার সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে তাঁদের কাছে বাবার প্রতি শ্রদ্ধার চেয়ে পাকিস্তানের হয়ে কাজ করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

mehboob mufti jammu & kashmir
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy