ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই উধাও এআইইউডিএফ বিধায়ক গোপীনাথ দাস।
৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা নাগাদ বছর তেরো-চোদ্দর এক কিশোরী বকো এলাকার মন্দিরা থানায় অভিযোগ জানায়, ২৯ অগস্ট বকোর এআইইউডিএফ বিধায়ক গোপীনাথ দাস নিজের গাড়িতে উঠিয়ে তার উপরে যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন। পুলিশ জেনেছে, মন্দিরার পুজিপড়া গ্রামের ওই কিশোরীর বাড়ি দাসের নবাববেড়ার বাড়ির কাছেই। কিশোরী সাংবাদিকদের জানায়, দাস কাজের জন্য তাকে ডেকে পাঠান। এরপর, গাড়িতে তুলে তার উপরে নির্যাতন চালান। ঘটনা জানাজানি হতেই বকোয় বিক্ষোভ শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা থানার সামনে বিধায়কের গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। মোতায়েন হয় আধা সেনা। বিধায়ককে ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হবে এই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরে বিক্ষোভ ওঠে।
বিধায়ক গোপীবাবু অবশ্য দাবি করেছেন— তিনি নির্দোষ। তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে। তিনিও গুয়াহাটির ওদালবাক্রা থানায় ওই কিশোরীর নামে চুরির মামলা ঠোকেন। কিন্তু, পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪৩ ধারা (জোর করে তিন দিনের বেশি আটকে রাখা) ও শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন রোধ আইনে মামলা দায়ের করে। তাঁকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তিনি আসেননি। এসপি ইন্দ্রাণী বরুয়া জানান, এর পর প্রয়োজনমতো অনুমতি নিয়ে গোপীনাথ দাসকে গ্রেফতার করার জন্য গুয়াহাটিতে তাঁর ব্যক্তিগত বাড়ি ও দিসপুরের বিধায়ক আবাসে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, বিধায়ক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
পুলিশ জানায়, ওই কিশোরী ইতিমধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিধায়কের বিরুদ্ধে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করেছে। রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন রুনুমি গগৈ জানান, তাঁরা এ দিন স্পিকার ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, এক জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠা দুর্ভাগ্যজনক। তদন্ত যেন দ্রুত ও নিরপেক্ষ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy