মাটির নীচে কয়লার বিপুল ভাণ্ডার। আর সেই রাজ্যেরই একটা জেলা আদালতে চালু হয়ে গেল সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায়, ‘‘যা গোটা দেশকে শুধু নয়, বিশ্বকেও বার্তা দেবে।’’
শুক্রবার গাঁধী জয়ন্তীতে ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলা আদালতে একটি সৌর বিদ্যুত্ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডের প্রায় অখ্যাত একটা জেলায় প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে স্থানীয় মানুষের মনেও নানা প্রশ্ন উঠেছিল। সে কথা মাথায় রেখে এ দিন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদী নিজেই তাঁর এই সফরের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, গাঁধীজিও পরিবেশ রক্ষা ও শক্তি সংরক্ষণের ব্যাপারে উৎসাহী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘সে কারণেই আমি এখানে এসেছি। কারণ গাঁধীই আমার অনুপ্রেরণা।’’ তাঁর মতে, অপ্রচলিত বিদ্যুৎ নিয়ে সারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে খুঁটি। সেখানে সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আদালত চত্বরকে আলোকিত করার পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে অভিনব।
পাশাপাশি, সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘যে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখেন, যে প্রধানমন্ত্রী সিলিকন ভ্যালিতে ঘুরে বেড়ান, যে প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশ ১৭৫ গিগাওয়াট অপ্রচলিত বিদ্যুত্ উৎপাদন করবে, সেই প্রধানমন্ত্রী একটি জেলা আদালতে মাত্র ১৮০ কিলোওয়াটের একটি সৌর বিদ্যুত্ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে দিল্লি থেকে খুঁটি চলে এলেন! এ নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগছে তো?’’ একই সঙ্গে উত্তরটাও নিজেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি খুঁটি আসতে পেরে গর্বিত। একটা জেলা আদালতে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, একটা বিপ্লবের থেকে কম কিছু নয়। এটা একটা নতুন যুগের সূচনা।’’
এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রাঁচি থেকে হেলিকপ্টারে খুঁটি আসেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু ও মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। পরিবেশ বাঁচিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কিছু উপায়ও উপস্থিত জনতাকে বাতলে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আপনারা এলইডি আলো ব্যবহার করুন। বিদ্যুতের বিল অনেকটাই নেমে যাবে।’’ প্রধানমন্ত্রীর এই পরামর্শে অবশ্য মুখে হাসি ফোটেনি সভায় হাজির অনেকেরই। কেন না তাঁদের অনেকের গ্রামে যে বিদ্যুৎ-ই পৌঁছয়নি!
খুঁটিতে অনুষ্ঠান সেরে প্রধানমন্ত্রী উড়ে যান দুমকার দিকে।
দুমকায় তিনি প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক লক্ষ গরিব মানুষ ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। রাজ্যের ১ লক্ষ বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষের জন্য বিনামূল্যে এলপিজি গ্যাস-সংযোগ প্রকল্পেরও সূচনা করেন। দুমকায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুদ্রা যোজনায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’’ এ দিন, দুমকা থেকেই প্রধানমন্ত্রী রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে মলুটি গ্রামের ১০৮ পোড়ামাটির মন্দির সংস্কারেরও সূচনা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy