Advertisement
০৫ মে ২০২৪

দ্রাবিড়ের সাফল্যও ভোট পুঁজি মোদীর

কর্নাটকে মোদীর এই প্রচার-সফরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পরিবর্তন যাত্রা’। ঢাক-ঢোলেরও আয়োজন কম ছিল না। কিন্তু সুর কাটল এক দল পড়ুয়া।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:২০
Share: Save:

কন্নড় অস্মিতা? কর্নাটকে ভোটের প্রচারে গিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার জন্য দেশের তরুণদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে এ কথাও বলতে ছাড়লেন না— ‘‘এই জয়ে দলের ‘হেড কোচ’ রাহুল দ্রাবিড়ের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কেউ সে কথা অস্বীকার করতে পারবে না।’’ কেউ যে অস্বীকার করেছেন এমন নয়। তার পরেও রাহুলের নামে দু’কথা বলে আসলে দ্রাবিড় আবেগ জাগিয়ে তুলতে চাইলেন মোদী।

কর্নাটকে মোদীর এই প্রচার-সফরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পরিবর্তন যাত্রা’। ঢাক-ঢোলেরও আয়োজন কম ছিল না। কিন্তু সুর কাটল এক দল পড়ুয়া। কর্মসংস্থান কমে যাওয়া নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন ওঠায় প্রধানমন্ত্রীর জবাব ছিল— পকোড়া বেচেও তো জীবিকা অর্জন করা যায়। তার প্রতিবাদে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি নেওয়ার পোশাক পরে পড়ুয়ারা মোদীর সভাস্থলের আশপাশে পকোড়া বেচার কর্মসূচি নিয়েছিলেন। ‘মোদী পকোড়া’, ‘অমিত পকোড়া’ ও কর্নাটকের বিজেপি সভাপতি ইয়েদুরাপ্পার নামে ‘ইয়েড্ডি পকোড়া’ ভাজা হয়। সভা শুরুর আগেই ছাত্ররা তা নিয়ে পৌঁছে যান প্যালেস গার্ডেনে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ তাঁদের ধরপাকড় করে সরিয়ে নিয়ে যায়।

বক্তৃতায় রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে কমিশনের সরকার বলে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, সবাই বলে ১০% কমিশন ছাড়া এ রাজ্যে কাজ হয় না। দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে কর্নাটক। রাজ্যের মন্ত্রীদের দুর্নীতির তদন্তের জন্য কমিশন গড়ার আর্জি জানিয়েছেন অনেকে। কিন্তু তিনি বলছেন, তার দরকার নেই। ভোটে এই সরকারকে বিদায় দিয়ে বিজেপিকে আনলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: অ্যাডভান্টেজ অসম: ২ দিনে লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি

জাতীয় ক্ষেত্রেও রাহুল গাঁধীর দলকে বিঁধে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এর আগে ওবিসি বিল আটকে দিয়েছিল কংগ্রেস। এ বার তিন তালাক বিল আটকে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে তারা। মোদীর দাবি, ইউপিএ আমলের চেয়ে তাঁর আমলে কর্নাটকের জন্য বরাদ্দ ১৮০ শতাংশ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার পেশ করা বাজেটকে তিনি উন্নয়নের সোপান বলে দাবি করে বলেন, কৃষকদের ‘টপ’-এ রাখা হয়েছে এই বাজেটে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যায়— টি মানে টোম্যাটো, ওনিয়ন (পেয়াঁজ)-এর ও এবং পোট্যাটো (আলু)-র পি। অর্থাৎ— আনাজ-ফল চাষিদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া অবশ্য অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের কোনও সমস্যাকে বিজেপি গুরুত্ব দেয় না। মহাদায়ী নদীর জলের ভাগ নিয়ে মহারাষ্ট্রের সঙ্গে কর্নাটকের বিবাদ মেটাতে বরং মোদী সচেষ্ট হন। সিদ্দারামাইয়া অভিযোগ করেন, প্রচারের নামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোই লক্ষ বিজেপির। প্রধানমন্ত্রী বলে তাঁরা মোদীকে ছাড় দিচ্ছেন। কিন্তু অমিত শাহের জারিজুরি এই রাজ্যে চলবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE