Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভারত-মার্কিন জোটে জোর দিলেন মোদী

নিজের ওয়াশিংটন সফরের জন্য তিনি অপেক্ষা করে রয়েছেন বলে মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব চাক হাগেল-কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সমঝোতা আরও মজবুত করার লক্ষ্যেই ভারত সফরে এসেছেন হাগেল। আজ বৈঠকে মোদী তাঁকে বলেন, ভারত ও আমেরিকা পরস্পরের জন্য কী করছে, তার থেকেও জরুরি হল, বিশ্বের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম গণতন্ত্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য কী করছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব চাক হাগেলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দিল্লিতে। ছবি: পি টি আই।

মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব চাক হাগেলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দিল্লিতে। ছবি: পি টি আই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৪ ০৩:১৭
Share: Save:

নিজের ওয়াশিংটন সফরের জন্য তিনি অপেক্ষা করে রয়েছেন বলে মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব চাক হাগেল-কে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সমঝোতা আরও মজবুত করার লক্ষ্যেই ভারত সফরে এসেছেন হাগেল। আজ বৈঠকে মোদী তাঁকে বলেন, ভারত ও আমেরিকা পরস্পরের জন্য কী করছে, তার থেকেও জরুরি হল, বিশ্বের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম গণতন্ত্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য কী করছে।

অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ইরাক ও আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়েও মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিবের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মোদী আফগানিস্তানে দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করে ক্ষমতার হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

কারণ তিনি মনে করেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও উন্নয়ন ধরে রাখার এইটিই হল পথ।

মোদীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গেও বৈঠক করেন মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভারত ও আমেরিকা যৌথ ভাবে সমরাস্ত্র তৈরি করবে। ভারত এত দিন অধিকাংশ অস্ত্র বিদেশ থেকে আমদানি করত। কিন্তু এ বার দেশেই অস্ত্র তৈরিতে জোর দিচ্ছে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির পরিমাণ ২৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৯ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ভারতে অস্ত্র তৈরির বিষয়ে মার্কিন লগ্নির পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সাহায্যও চাইছে মোদী সরকার। প্রযুক্তিগত সাহায্য করার বিষয়ে আমেরিকার বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পেন্টাগন ও সাউথ ব্লকের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হবে বলে ঠিক হয়েছে। জেটলি বলেন, “প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই আমরা নীতি তৈরি করছি। আমরা আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতে চাই।” অক্টোবরে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাঙ্কের বৈঠকে যোগ দিতে ওয়াশিংটন যাবেন জেটলি। সেই সময় তাঁকে পেন্টাগনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন হাগেল। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও আজ বৈঠক করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE