দিনভর রাহুল গাঁধী-অখিলেশ যাদব ঐক্যের জোর দেখানোর পর রাতে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করলেন মুলায়ম সিংহ যাদব। সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের জোটের বিরুদ্ধে মুখ খুলে জানালেন, জোটের হয়ে প্রচারই করবেন না তিনি।
বয়সজনিত কারণই হোক বা আচমকা মোড় ঘোরা— মুলায়মের এমন আচরণ নতুন নয়। নেতাজির জোট-বিরোধী মনোভাবও নতুন নয়। কিন্তু সপা-কংগ্রেস জোট তো হয়েছে বেশ কয়েক দিন আগে। তা হলে এত দিন পরে মুলায়ম এই নিয়ে মুখ খুললেন কেন? রহস্য তা নিয়েও। জোট বিরোধিতার একটি যুক্তি অবশ্য তিনি দিয়েছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করতে গিয়ে সপা-র যাঁদের আসন বাদ যাচ্ছে, তাঁরা কী করবেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুলায়ম। মুলায়মের মতে, সপা একাই ক্ষমতায় আসতে পারত। জোটের দরকারই ছিল না।
সপার অনেকে মনে করছেন, আসলে আজ রাহুল গাঁধী যে ভাবে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে অখিলেশকে কিছু ক্ষেত্রে চাপে ফেলে অমেঠী-রায়বরেলীর আসন ছিনিয়ে নিতে চাইছেন, তাতেই চটেছেন নেতাজি। সেখানে গায়ত্রী প্রজাপতির মতো নেতাজি-ঘনিষ্ঠ প্রার্থীকে ইতিমধ্যেই টিকিট দিয়েছে সপা। ওই আসনে নজর রয়েছে কংগ্রেসের। সপা-র অনেকের ধারণা, অখিলেশ যে রাহুলের সঙ্গে দর কষাকষিটা করতে পারছেন না, সেটাই মুলায়ম প্রকাশ্যে বলে ছেলের কাজ সহজ করে দিলেন। এ বারে মুলায়মের আপত্তি দেখিয়ে অখিলেশ ওই আসনগুলি নিজের কাছেই রাখতে পারবেন।
তবে রাহুল-অখিলেশের ঐক্যের দিনেই মুলায়মের এই বিস্ফোরণ নয়া অস্ত্র তুলে দিল বিরোধীদের হাতে। বিজেপির বক্তব্য, আজ সকালেও যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে অখিলেশ তাল ঠুকে বলতে পারেননি, এই জোটে মুলায়মের সায় আছে কি না। মুলায়মের কথায় স্পষ্ট, একা ডুবছেন দেখে রাহুলের মতো ডুবন্ত নৌকায় সওয়ার হয়েছেন অখিলেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy