এর আগে ২০১৪ সালে নির্বাচনে জেতার পর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করেছিলেন, ৭৫-এর বেশি বয়সের কোনও নেতাকে আর সক্রিয় রাজনীতিতে রাখা হবে না। তাঁকে অবসর নিতে বলা হবে। এই যুক্তিতে শুধু আডবাণীই নয়, যোশী-যশবন্তের মতো নেতাদের মার্গদর্শক মণ্ডলীর সদস্য করে দেওয়া হয়। মন্ত্রিত্ব ছাড়েন নাজমা হেপতুল্লাও। রাজ্যসভার মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন বিহারের সি পি ঠাকুর |
আরও পড়ুন: বৃদ্ধ নয়, নবীন-তন্ত্র বিরোধীদের
তবে পরিস্থিতি এখন বদলেছে। কিছু দিন আগে বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাতে সরকার গঠন করা গেলেও ভোটের হারে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তার পর একের পর এক উপনির্বাচনে বিজেপি যে ভাবে হারছে, তাতে মোদী-অমিত শাহ যথেষ্ট চাপে পড়েছেন। এ অবস্থায় বিজেপি তাদের পুরনো নীতি থেকে সরে আসছে। বলা হচ্ছে— বয়স নয়, এ বারের ভোটে প্রধান বৈশিষ্ট হিসেবে দেখা হবে আসন জয়ের যোগ্যতাই।
আডবাণীর পরিবর্তে তাঁর মেয়ে প্রতিভা বা ছেলে জয়ন্তকে গাঁধীনগরে প্রার্থী করার একটা প্রস্তাব ছিল। সে ক্ষেত্রে অবশ্য কে প্রার্থী হবেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আডবাণী নিজেই। কিন্তু এখন শুধু গাঁধীনগর নয়, দেশ জুড়ে বহু বিজেপি কর্মী দাবি তুলেছেন— আডবাণী যত দিন আছেন, তত দিন তিনি সাংসদ থাকুন। বিজেপি সূত্র বলছে— ৯০ বছর বয়স হয়েছে ঠিকই, কিন্তু শারীরিক ভাবে যথেষ্ট সুস্থ রয়েছেন আডবাণী। আডবাণী এখনও এনডিএ-র চেয়ারম্যান। কিন্তু দিল্লিতে তাঁর নিজের কোনও বাড়ি নেই। বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন ৩০ নম্বর পৃথ্বীরাজ রোডের এই বাড়িটি আডবাণীর জন্যই বরাদ্দ থাকুক।
তবে প্রধানমন্ত্রী এবং অমিত শাহ চাইলেও আডবাণী কি প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হবেন? এ প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা যায়নি।