আরও মজবুত হল ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধন৷ দুই বাংলার সম্পর্কে নতুন সংযোজন৷ মৈত্রী এক্সপ্রেসের পর বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করল আরও একটি ট্রেন। একই সঙ্গে কলকাতা-খুলনা বাসের যাত্রাপথ বৃদ্ধির সূচনাও হল।
শনিবার নয়াদিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউসে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে যাত্রার সূচনা করল কলকাতা-খুলনা ট্রেন৷ এই ট্রেন জুলাই থেকে নিয়মিত চলবে৷ এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এ দিন নবান্ন থেকে বাসের যাত্রাপথ বৃদ্ধির সূচনাও করা হয়।
আরও পড়ুন: মমতাকে সঙ্গে নিয়ে তিস্তা সমাধান শীঘ্রই, হাসিনাকে কথা দিলেন মোদী
অন্যদিকে, কলকাতা-খুলনা ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য সেজে উঠেছিল বেনাপোল রেলস্টেশন। সেখানে ভিডিও কনফারেন্স স্থলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
নয়া ট্রেনের উদ্বোধনে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। ছবি: পিটিআই।
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, এই রেলপথে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে এখন বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরও বাড়বে। চিকিৎসা ও ভ্রমণের কাজেও যাতায়াতকারীরা উপকৃত হবেন। পাশাপাশি দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন আরও জোরদার হবে। দুপুর ২টোয় বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেনের নেতৃত্বে ৩৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মৈত্রী ট্রেনটি নিয়ে বেনাপোল স্টেশন ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়।
জানা যায়, এখন যাত্রাপথে দু’দেশের ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ সময়ের বাধা কাটাতে ঢাকা স্টেশনেই (ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন) ইমিগ্রেশনের সব কাজ শেষ করার বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন শেষ হলে কোথাও না থেমে একেবারে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে গিয়ে থামবে মৈত্রী এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে কলকাতা থেকে যাঁরা ঢাকা যাবেন তাঁদের ইমিগ্রেশনের সব কাজ সম্পন্ন করা হবে শিয়ালদহ স্টেশনে। ট্রেনে যেহেতু খাবারের পর্যাপ্ত সুবিধা আছে, সেহেতু ট্রেনটি কোথাও না থামলেও কোনও অসুবিধা নেই। যাত্রাপথে ইমিগ্রেশনের জন্য যদি বাড়তি সময় ব্যয় না হয় তা হলে এখনকার নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে পৌঁছাবে মৈত্রী ট্রেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy