Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Ghatal

ঢাকঢোল বাজানোর জন্য ভাড়া করে এনে কাগজে সই! মনোনয়নে ব্যান্ডপার্টির সঙ্গে বচসা ঘাটালের প্রার্থীর

শুক্রবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী হিসাবে জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে যান রঘুনাথচকের বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল। গত ২৯ এপ্রিল নিয়ম মেনে ২৫ হাজার টাকার ডিসিআর কেটেছিলেন তিনি।

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৪ ১৫:৪০
Share: Save:

কথা ছিল, ঢাকঢোল পিটিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন প্রার্থী। সেই মতো ১০ হাজার টাকায় ব্যান্ডপার্টিও ভাড়া করা হয়েছিল। জেলাশাসকের দফতরে পৌঁছে সেই ব্যান্ডপার্টির লোকেদের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন ঘাটালের নির্দল প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, মনোনয়নে প্রস্তাবক হিসাবে সই করার জন্যই ১০ জনকে ডেকে এনেছিলেন তিনি। কিন্তু জেলাশাসকের দফতরে প্রবেশের পরেই তাঁরা বেঁকে বসেছেন! যদিও ব্যান্ডপার্টির লোকেদের বক্তব্য, চুক্তি অনুযায়ী তাঁরা বাজনা বাজানোর জন্য এসেছিলেন। তাই তাঁরা প্রস্তাবক হিসাবে সই করবেন না।

শুক্রবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী হিসাবে জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে যান রঘুনাথচকের বাসিন্দা গোপাল মণ্ডল। গত ২৯ এপ্রিল নিয়ম মেনে ২৫ হাজার টাকার ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিপ্ট) কেটেছিলেন তিনি। এর পর শুক্রবার তিনি জনা দশেক লোককে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান। তাঁদের সঙ্গে ঢাকঢোলও ছিল। হঠাৎ করে তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন গোপাল। তিনি বলেন, ‘‘প্রস্তাবক হিসেবে ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। এর জন্য দশ হাজার টাকা নিয়েছিল ওরা। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর এখানে এসে ওরা বলছে, সই করবে না।’’ ‘সঙ্গী’দের থেকে ১০ হাজার টাকা ফেরত চাওয়া নিয়েই মূলত ঝামেলায় জড়ান নির্দল প্রার্থী।

এ দিকে গোপালের সঙ্গে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে জিতেন দাস নাম এক ব্যক্তি জানান, গোপাল বাজনা বাজানোর জন্যই তাঁদের ডেকে এনেছিলেন। সেই জন্য তাঁরা ঢাকঢোল নিয়ে এসেছেন। কিন্তু বাজনা বাজাতে হয়নি। পরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় গোপাল তাঁদের সই করতে বলেন। যা তাঁরা করতে ইচ্ছুক নন বলেই জানান জিতেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল বাজনা বাজানোর। সেই মতো বাজনা নিয়ে এসেছি। কিন্তু বাজনা বাজাতে হয়নি। সঙ্গে ভোটার কার্ড আনতে বলেছিল। না হলে ঢুকতে দেবে না! সেই জন্য এনেছি। এখানে এসে বলছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সই করতে হবে। আমাদের কাজ বাজনা বাজানো। তাই টাকা ফেরত দেব না। বাজনা বাজাতে বললে বাজিয়ে দেব।’’

গোপাল জানান, তিনি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। এলাকার বাসিন্দা, তাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দেব ও হিরণের বিরুদ্ধে তিনি লড়তে চান কেন? গোপালের সপাট জবাব, ‘‘সব চোর। এলাকায় থাকে না কেউ!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ghatal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE