Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
national herald

National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা: সাড়ে ন’ঘণ্টা জেরার পরেও রাতে ফের রাহুলকে তলব ইডি-র!

সনিয়া এবং রাহুলকে ক্লিনচিট দিয়ে ২০১৫-য় ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত বন্ধের সুপারিশ করেছিলেন ইডির তৎকালীন যুগ্ম অধিকর্তা রাজন কাটোচ।

রাত ৮টায় ইডি-র দফতর থেকে বেরোচ্ছেন রাহুল।

রাত ৮টায় ইডি-র দফতর থেকে বেরোচ্ছেন রাহুল। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২২ ২১:১৯
Share: Save:

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মঙ্গলবার সাড়ে ন’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সূত্রের খবর, ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার রাতেই তলব করা হয়েছে রাহুলকে। এই নিয়ে দু’সপ্তাহে পাঁচ বার প্রায় ৫০ ঘণ্টা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি।

মঙ্গলবার সকালে দিল্লির এপিজে আব্দুল কালাম রোডে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেন। বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ওই মামলায় রাত প্রায় ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। রাত ৮টা নাগাদ বোন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বাড়ি ফেরেন রাহুল। তাঁর পরেও ফের রাতে তাঁকে ডাকার ‘খবরের’ ফলে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে গত সপ্তাহের সোম থেকে বুধবার টানা তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রাহুলকে। এক দিনের বিরতি দিয়ে চতুর্থ দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু রাহুল তাঁর মা তথা কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার করাণে কয়েকদিনের ছাড় দেওয়ার আবেদন জানান। তা মেনে নিয়ে শুক্রবারের পরিবর্তে সোমবার তাঁকে ফের ডেকে ন’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

কোভিড-মুক্ত সনিয়া সোমবার সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আগামী ২৩ জুন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি। ইডির একটি সূত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ নয়, বেশি সময়টাই চলে গিয়েছে রাহুলের আগের দেওয়া বয়ান সংশোধনে। ওই সূত্রের দাবি, রাহুলের আগের যে বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে বর্তমান বয়ানের অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে সাত বছর আগে এই ন্যাশনাল হেরাল্ড-কাণ্ডেই সনিয়া গাঁধী এবং রাহুলকে ক্লিনচিট দিয়ে মামলা বন্ধের সুপারিশ করেছিল ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’। সংস্থার তৎকালীন যুগ্ম-অধিকর্তা রাজন কাটোচ অর্থ মন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE