রামের পর নির্বাচনী ইস্তাহারে স্থান পেলেন সীতা! শুক্রবার বিহারের শাসকজোট এনডিএ নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। সেই ইস্তাহারে বলা হয়েছে, এনডিএ ফের ক্ষমতায় এলে বিহারের সীতামঢ়হী জেলায় ‘সীতার জন্মস্থান’কে ঢেলে সাজানো হবে। ওই জেলার মাতা জানকী (পুরাণে সীতার আর এক নাম) মন্দিরের জন্য ইতিমধ্যেই ৮৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন বিহার সরকার। এ বার ওই মন্দিরকে কেন্দ্র করে বড় পর্যটনস্থল তৈরি করারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল।
ইস্তাহারে বলা হয়েছে, “এনডিএ যদি ফের ক্ষমতায় আসে, তা হলে সীতামঢ়হীতে মা জানকীর পবিত্র জন্মভূমিকে বিশ্বমানের আধ্যাত্মিক শহর হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এই শহরের নাম হবে সীতাপুরম।” প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ৬৭ একর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সীতার মন্দিরটিকে নতুন করে গড়ে তোলা হবে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের আদলেই তৈরি করা হবে মন্দিরটি।
অগস্ট মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ‘মাতা জানকী মন্দির’-এর শিলান্যাস করেছিলেন। গত জুনে বিহার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর স্থির হয় গোটা প্রকল্পের জন্য ৮৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। ১৩৭ কোটি বরাদ্দ হবে পুরনো মন্দির সংস্কারের জন্য। আর ৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে পর্যটন সংক্রান্ত উন্নয়নমূলক কাজের জন্য। এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে বিহারের পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদ (বিএসটিডিসি)। ঘটনাচক্রে, নতুন মন্দিরের নকশা তৈরি করার ভার নয়ডার যে সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছে, সেই সংস্থা রামমন্দিরের স্থাপত্যনির্মাণ সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে স্থান পেয়েছে অযোধ্যায় ‘রামের জন্মস্থানে’ রামমন্দির তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছিল। ‘রামলালা’র প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।