Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
cats

আত্মীয়েরা আসতে চান না, বেড়াল পোষায় প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর গোটা পাড়ার!

এফআইআরে লেখা হয়েছে, ‘‘বাজে গন্ধ ছড়িয়ে থাকছে এলাকায়। রাস্তায় হাঁটাই দায় হয়েছে। কারণ, এতগুলো বিড়াল রাস্তায় এক সঙ্গে জড়ো হয়ে যায়। ফলে লোকজন রাস্তা পার হতেও বয় পায়।’’

Neighbors file FIR against cat owner alleging guests fear to visit homes

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই বিড়ালের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে মালিকের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে তাঁদের। —প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩০
Share: Save:

সারা দিন মিউ, মিউ ডাকে অতিষ্ঠ তাঁরা। ভয়ে,আতঙ্কে আত্মীয়-পরিজনেরা তাঁদের বাড়িতে আসাই ছেড়ে দিয়েছেন। কটূ গন্ধে রাস্তা দিয়ে হাঁটাও দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনই সব অভিযোগে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করলেন এলাকার মহিলারা। অভিযোগ, ৩০টির বেশি বিড়াল পুষে অন্যদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই এফআইআর দায়ের হয়েছে ওড়িশার ছত্রপুর এলাকার শঙ্করমাথা স্ট্রিটে। বসন্ত বিশ্বাস রায় নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, ৩০টির বেশি বিড়াল পুষেছেন তিনি। তার জন্য অসুবিধায় পড়েছেন প্রতিবেশীরা। এতগুলো বিড়ালের ভয়ে ওই এলাকায় কোনও পরিচিত আসতে ভয় পান। এফআইআরে লেখা আছে, ‘‘বাজে গন্ধ ছড়়িয়ে থাকছে এলাকায়। রাস্তায় হাঁটাই দায় হয়েছে। কারণ, এতগুলো বিড়াল রাস্তায় জড়ো হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে আমরা শঙ্করমাথা স্ট্রিটের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ভয়ে ভয়ে রয়েছি। তা ছাড়া অবস্থা যা, যে কোনও সময়ে প্লেগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে এলাকায়।’’

এখানেই শেষ নয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই বিড়ালের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে মালিকের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে তাঁদের। বিড়ালের মালিক তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপারকে এ নিয়ে পদক্ষেপের আর্জি করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

cats FIR Orisha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE