Advertisement
E-Paper

করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি, আতঙ্ক না ছড়াতে আর্জি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের পুরনো স্টেনটির তুলনায় নয়া ব্রিটিশ প্রজাতিটি প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:১২
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন— নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন— নিজস্ব চিত্র।

ব্রিটেনে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন (প্রজাতি) নিয়ে ভারতে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সোমবার আমজনতার উদ্দেশে তাঁর আবেদন, ‘‘এই মুহূর্তে কাল্পনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না। বিষয়টি নিয়ে সরকার পুরোপুরি সতর্ক রয়েছে।’’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সোমবারই নয়া ভাইরাস প্রজাতি সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেনে উড়ান বন্ধের সুপারিশ করেছে।

গত মাসে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, দেশের কিছু এলাকায় করোনাভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে সংক্রমণের গতি আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। কারণ, করোনাভাইরাসের পুরনো স্ট্রেনটির তুলনায় নয়া ব্রিটিশ প্রজাতিটি প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। সে দেশের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক বলেছিলেন, ‘‘পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’’

সেপ্টেম্বরে প্রথম দক্ষিণ ইংল্যান্ডে এই স্ট্রেনটির সন্ধান মিলেছিল। এর পরে ব্রিটেনের আরও কিছু এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ে। ইটালিতেও নয়া প্রজাতির করোনাভাইরাস সংক্রমণের একটি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্রিটেন থেকে ইটালিতে গিয়েছিলেন। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দাবি, ‘‘নয়া ভাইরাসটি সংক্রমণের ফলে অসুস্থতা গুরুতর হতে পারে, এমন কোনও প্রমাণ নেই।’’

বিপদের আঁচ পেয়ে ইতিমধ্যেই কানাডা, সৌদি আরব এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ব্রিটেনগামী উড়ানের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি-সহ কয়েকটি বিরোধী দল ব্রিটেনের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী উড়ান বন্ধের দাবি তুলেছেন। হর্ষ ‘ভারত বিজ্ঞান উৎসব’ উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আমরা সজাগ রয়েছি, সংক্রমণ ঠেকাতে সম্ভাব্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ব্রিটেনের পর এ বার ইটালিতেও মিলল করোনার নতুন স্ট্রেন

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সোমবার এক বৈঠকে নয়া প্রজাতির ভাইরাস মোকাবিলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এই উদ্দেশ্যে ‘জয়েন্ট মনিটরিং কমিটি’ তৈরি করেছে কেন্দ্র। তাতে রয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ভারতে নিযুক্ত প্রতিনিধি রডরিকো এইচ অফরিন।

আরও পড়ুন: সকাল ৭টায় অফিস পৌঁছনো, ফেরা রাত ১০টায়, মডার্নার সাফল্যের নেপথ্যে কে

Coronavirus Covid-19 Health Minister Harsh Vardhan CORONA United Kingdom britain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy