এনআইএ সূত্রের খবর, আধাসেনাকে সঙ্গে নিয়ে সকাল থেকেই ন’জায়গায় তল্লাশি শুরু করেন গোয়েন্দারা।
ভোররাতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জইশ জঙ্গি শিবিরে বিমান হানার পাশাপাশি কাশ্মীর উপত্যকাতেও মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র গোয়েন্দারা।
জইশ-সহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল এবং জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল সংগঠনগুলির খোঁজ, তল্লাশির পাশাপাশি এনআইএ-র গোয়েন্দারা একাধিক দলে ভাগ হয়ে উপত্যকার বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতার বাড়িতে হানা দেন।
এনআইএ সূত্রের খবর, আধাসেনাকে সঙ্গে নিয়ে সকাল থেকেই ন’জায়গায় তল্লাশি শুরু করেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এক দিকে যেমন পুলওয়ামা হামলার চক্রীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে, তার সঙ্গে জঙ্গিদের তহবিল নিয়ে যে তদন্ত শুরু করেছে এনাআইএ, সে মামলাতেও তল্লাশি হয়। ওই মামলাতেই হুরিয়তের চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ উমর ফারুকের বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। একই সময়ে শ্রীনগরে হুরিয়তের অন্য নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির ছেলে নঈম গিলানির বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালানো হয় জেকেএলএফ নেতা ইয়াসিন মালিকের বাড়িতেও।
কী কী আছে ভারতীয় সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে জানেন?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, কাশ্মীর উপত্যকায় এনআইএ যেমন জইশ সহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলির টাকার জোগান রুখতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করছেন, তেমনি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও গত কয়েক দিনে গোটা রাজ্য জুড়ে জামাত-এ-ইসলামী সহ জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ২০০ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটর করেছে।
আরও পড়ুন, প্রত্যাঘাতের কয়েকঘণ্টা পরই ভারতের আকাশে পাক-ড্রোন, গুলি করে নামাল সেনা
সূত্রের খবর, এই সাঁড়াশি আক্রমনের উদ্দেশ্য একটাই, যাতে উপত্যকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা আশ্রয় না পায়। কারণ গোয়েন্দাদের দাবি এখনও গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় এখনও বেশ কয়েক জন জইশ জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy